বিচারপতি এ কে সিক্রি। -ফাইল ছবি।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈর পর এ বার সুপ্রিম কোর্টে নাগেশ্বর রাও মামলার শুনানি থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি এ কে সিক্রি। এম নাগেশ্বর রাওকে সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান করার সরকারি সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে গত সপ্তাহে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে। শুনানির আগের দিন সেই মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা জানান দেশের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তার পর মামলাটি যায় বিচারপতি সিক্রির এজলাসে।
সরে দাঁড়ানোর জন্য দু’টি কারণ দেখিয়েছেন বিচারপতি সিক্রি। একটি, ‘ব্যক্তিগত কারণ’। এও বলেছেন, ‘‘এটা এই মামলার শুনানির সঠিক সময় নয়।’’ সিবিআইয়ের পরবর্তী প্রধান কে হবেন, তা ঠিক করতে বৃহস্পতিবারই বৈঠকে বসার কথা তিন সদস্যের নির্বাচক কমিটির। যে কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ওই জনস্বার্থ মামলাটির শুনানির আগের দিন সরে দাঁড়ানোর কথা জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। কারণ দর্শাতে গিয়ে বলেছিলেন, সিবিআইয়ের পরবর্তী প্রধান বেছে নেওয়ার জন্য যে নির্বাচক কমিটি রয়েছে, তিনি তার সদস্য। তাই তিনি সরে দাঁড়াচ্ছেন। পরে অবশ্য ওই নির্বাচক কমিটি থেকেও বাদ পড়ে বিচারপতি গগৈর নাম। তাঁর জায়গায় কমিটিতে আসেন বিচারপতি সিক্রি।
ওই জনস্বার্থ মামলাটি যারা দায়ের করেছে সুপ্রিম কোর্টে, সেই অলাভজনক সংস্থা ‘কমন কজ’-এর তরফে আইনজীবী দুষ্যন্ত দাভে বৃহস্পতিবার আদালতে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘বিচারপতি সিক্রি সরে দাঁড়ানোয় ভুল বার্তা গেল মানুষের কাছে। এই সিদ্ধান্তের কথা আমরা গতকাল জানতে পারলে প্রধান বিচারপতির কাছে মামলাটিকে অন্যত্র সরানোর আর্জি জানাতে পারতাম। এখন মনে হচ্ছে, শীর্ষ আদালত মামলাটির শুনানি চাইছে না। অলোক বর্মাকে (সিবিআইয়ের বরখাস্ত হওয়া প্রধান) সরানোর ব্যাপারে আদালতকে যতটা সক্রিয় হতে দেখা গিয়েছে, নতুন নিয়োগের (নাগেশ্বর রাওয়ের সিবিআইয়ের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধান হওয়া) ব্যাপারে সেই সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে, আদালত মামলাটির শুনানিই চাইছে না।’’ গত সপ্তাহে মামলাটি দায়ের হয় শীর্ষ আদালতে।
আরও পড়ুন- সিবিআই প্রধানের মামলা শুনবেন না প্রধান বিচারপতি
আরও পড়ুন- সিবিআই প্রধানের দৌড়ে বাঙালি রীনা
আদালতে ‘কমন কজ’-এর আইনজীবীর ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিচারপতি সিক্রি বলেন, ‘‘আপনারা আমাকে চেনেন, জানেন। আমার অবস্থাটা বুঝতেও পারছেন। সরে দাঁড়াচ্ছি বলে কিছু বলতে পারছি না। মানছি, ওই জনস্বার্থ মামলায় কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে। তা নিয়ে আলোচনা কাল হতে পারে। আমি এই শুনানিতে অংশ নিতে চাই না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy