বিরোধীরা নতুন অস্ত্র পেয়ে যেতে পারে। চিন্তায় মোদী সরকার। —ফাইল চিত্র।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে কংগ্রেস শিবির উজ্জীবিত হলেও প্রকাশ্যে সাহসী মুখই তুলে ধরতে চাইছে সরকার পক্ষ। তাদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে দিয়েছে, কোনও ‘রণকৌশলগত ও গোপন’ তথ্য জানাতে হবে না। সরকারকে কোনও নোটিসও জারি করা হয়নি। বায়ুসেনার জন্য রাফাল-এর উপযোগিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেনি সুপ্রিম কোর্ট।
কিন্তু একান্ত আলোচনায় শাসক শিবিরের উদ্বেগ ঢাকা থাকছে না। তাদের মতে, পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে রাফাল নিয়ে আরও তথ্য প্রকাশ্যে এলে তার চুলচেরা বিচার হবে। তাতে বিরোধীরা নতুন অস্ত্র পেয়ে যেতে পারে।
সে জন্য রাফাল নিয়ে তথ্য প্রকাশ হওয়া আটকাতে আজ যথা সম্ভব চেষ্টা করেছেন সরকারি আইনজীবীরা। গত মাসেই রাফাল-চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য সরকারের কাছে জানতে চেয়েছিল কোর্ট। সরকার সেই তথ্য জমাও দিয়েছে। অ্যাটর্নি জেনারেল আজ আদালতে জানান, কেন্দ্র যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তা ‘অফিসিয়াল সিক্রেট অ্যাক্ট’-এর আওতায় পড়ে। তখন আদালত বলে, গোপন ও রণকৌশলগত বিষয়গুলি প্রকাশ করার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ওই চুক্তি সংক্রান্ত তথ্যের যতটুকু জনসমক্ষে জানানো সম্ভব, ১০ দিনের মধ্যে তা মামলাকারীদের হাতে তুলে দিতে হবে। যাতে পরবর্তী ৭ দিনের মধ্যে তাঁরা তাঁদের বক্তব্য
জানাতে পারেন।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে আজ অন্যতম মামলাকারী, আইনজীবী এম এল শর্মা আদালতে দাবি তোলেন, নির্বাচনের পরে মামলার শুনানি হোক। প্রধান বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘‘কোন ভোট? আদালতের কাজ ভোটের জন্য আটকায় না।’’ শর্মার জবাব, ‘‘বিধানসভা ভোট।’’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘তা নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা হবে কেন? আপনার মাথায় কোন ভোট রয়েছে, সেটা আগে ঠিক করুন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy