ছবি পিটিআই।
গুরুতর প্রশ্ন উঠেছে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের নাম করে গড়া পিএম কেয়ার্স তহবিল নিয়ে। কারা কোন উদ্দেশ্যে সেই তহবিলে হঠাৎই শত শত কোটি টাকা ঢালছে, তাদের নাম প্রকাশ করার দাবি উঠেছে। আরও অনেক কিছুর মতো সে দাবিতেও কর্ণপাত করেনি সরকার। তবে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে পিএম কেয়ার্স তকবিলে দাতার একটি নাম এ দিন কৌশলে প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, নরেন্দ্র মোদীও এই তহবিলে ‘নিজের থেকে’ ২.২৫ লক্ষ টাকা দান করেছেন। যদিও তা সম্প্রতি নয়, মার্চে তহবিলটি তৈরির সময়ে।
দাতার এই নামটি যিনি প্রকাশ করেছেন, তিনি নিজের নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক বলে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যে এমন দানধ্যান করে থাকেন, তার কিছু পুরনো ফিরিস্তিও প্রধানমন্ত্রীর দফতরের এই অফিসারটি জানিয়েছেন। তবে কথা উঠেছে, তহবিলটি নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন ওঠার পরের দিনেই কেন এক জন বিশেষ দাতার নাম প্রকাশ করা হল, বিশেষ করে বাকিদের তুলনায় যাঁর দানের অঙ্ক নেহাতই অকিঞ্চিৎকর?
গত পাঁচ-সাত দিনে বিতর্কিত এই তহবিলে চাঁদার বান ডেকেছে। বুধবার দেখা যায়, প্রথম পাঁচ দিনে পিএম কেয়ার্স-এ ৩০৭২.৬২ কোটি টাকা পড়েছে। কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরম এই অস্বাভাবিক অঙ্কের বিষয়টি উল্লেখ করে দাবি করেছিলেন, কারা এই বিপুল অর্থ বিতর্কিত তহবিলটিতে ‘দান’ করল, তাঁদের নাম প্রকাশ করতে হবে।
এর আগে অভিযোগ উঠেছে, প্রধানমন্ত্রীর নামে তহবিল গঠন এবং দেশব্যাপী তার প্রচারে আকৃষ্ট হয়ে সাধারণ মানুষ থেকে শিল্পপতিরা বিপুল অঙ্কের চাঁদা দিলেও করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করা রাজ্যগুলিকে এ থেকে একটি পয়সাও দেওয়া হচ্ছে না। টানা লকডাউনে রাজস্ব হারিয়ে বিপদে পড়া রাজ্যগুলি চিঠি লিখে অর্থ চাইলেও তোয়াক্কা করছে না সরকার। উল্টে তাদের ঋণ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, যিনি করোনা-সংক্রমণকে ‘দৈব-দুর্বিপাক’ বলে মন্তব্য করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর একটি ত্রাণ তহবিল, এবং তাতে বহু কোটি টাকা জমা থাকতেও কেন এই নতুন পিএম কেয়ার্স তহবিল, উঠেছে সেই প্রশ্নও। হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হলেও গোড়াতেই জানিয়ে রাখা হয়েছে, সরকারি সংস্থা সিএজি-কে (কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল) এই তহবিলের হিসেব পরীক্ষা করতে দেওয়া হবে না। তার বদলে অন্য কোনও বেসরকারি সংস্থাকে দিয়ে এই কাজ করানো হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy