বেঙ্গালুরুতে শশী। পিটিআই
‘শিবলিঙ্গ মে বিচ্ছু বইঠা হ্যায়!’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্পর্কে আজ এমনই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস নেতা শশী তারুর। তবে তারুরের দাবি, কথাটি তাঁর নিজের নয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আরএসএস কর্মকর্তা এক সাংবাদিকের কাছে এই ভাষাতেই বর্ণনা করেছিলেন মোদীকে। সেই অজ্ঞাতপরিচয় সঙ্ঘ-কর্তাকে উদ্ধৃত করে তারুর বললেন, ‘‘শিবলিঙ্গের মাথায় বসে থাকা এই কাঁকড়াবিছেকে আপনি হাত দিয়ে সরাতে পারবেন না, আবার চপ্পল দিয়ে মারতেও পারবেন না।’’
দু’দিন আগেই মোদীকে নিয়ে লেখা তারুরের বই প্রকাশিত হয়েছে। সেই বই নিয়ে কথা বলতে গিয়েই আজ বিতর্কের মাত্রা বাড়ালেন শশী।
কেন এমন বললেন তিনি? তারুর নিজেই ব্যাখ্যা করে বললেন, ‘‘আসলে মোদীর ‘ব্যক্তিমহিমা’ প্রচার সঙ্ঘেরই অনেকে পছন্দ করেন না। অথচ তাঁকে সহজে ছেঁটে ফেলাও যাচ্ছে না।’’
আরও পড়ুন: এ বার গোমাতাদের কানে ট্যাগ পরাচ্ছে মোদী সরকার
এর তীব্র প্রতিবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। দলের সভাপতি হিসেবে রাহুল গাঁধীকে এ জন্য ক্ষমা চাইতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘রাহুল, আপনি তো নিজেকে শিবভক্ত বলে দাবি করেন। অথচ আপনারই দলের এক নেতা চপ্পল মারার কথা বলে শিবের অপমান করছেন।’’ তারুরের এমন মন্তব্য নিয়ে আজ দিনভর ঝড় উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় টুইট-অস্ত্রে বিঁধেছেন তারুর, এমনকি রাহুল গাঁধীকেও। তাঁর কথায়, ‘‘বোঝাই যাচ্ছে যে, সভাপতির কিম্ভূতকিমাকার নেতৃত্বে হতাশ গোটা কংগ্রেস দলটাই। নেতারা তাই মুখ খুললেই খারাপ কথা বেরোচ্ছে।’’ পরে শশী জানান, তিনি কোন সাংবাদিকের ঠিক কোন লেখার কথা বলছেন। ২০১২-র মার্চে লেখা সেই নিবন্ধের লিঙ্ক পোস্ট করেন। সেই নিবন্ধ, যেখানে মোদীর সঙ্ঘকর্তা থেকে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী হয়ে ওঠার যাত্রাপথ লিখেছেন সাংবাদিক। এ দিন পরে দিল্লিতেও মোদীকে বিঁধে শশী বলেন, ‘‘রোগনির্ণয়টা উনি ভালই করেন, কিন্তু প্রেসক্রিপশনটা ভয়ানক দুর্বল। সেই কারণেই তিনি ভাল প্রধানমন্ত্রী হতে গিয়েও পারছেন না।’’
আরও পড়ুন: অ্যাপে টুপি-টিশার্টও এখন বেচছেন নমো
গত মাসে তারুর বলেছিলেন, ‘‘২০১৯-এও যদি বিজেপি জেতে, তা হলে ভারতের সংবিধান ছিঁড়ে নতুন করে লিখব।’’ আজ নয়া বিতর্কের আবহে তারুরের বিরুদ্ধে সংবিধান অবমাননার অভিযোগও তুলছেন নেটিজেনদের একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy