ফাইল চিত্র।
প্রথম দফায় যে অসুখ সারানো যায়নি, দ্বিতীয় দফার শুরুতেই তা নিয়ে মন্ত্রীদের সতর্ক করে দিলেন প্রধানমন্ত্রী। বুধবার রাতে ক্যাবিনেট বৈঠকের পরে ছিল মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের নিয়ে মন্ত্রিপরিষদের প্রথম বৈঠক। সূত্রের খবর, এই বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী সাফ জানিয়ে দিয়েছেন— মন্ত্রীদের সকাল সকাল দফতরে আসতেই হবে।
প্রথম দফায় মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের বিরুদ্ধে একটা বড় অভিযোগ ছিল, তাঁরা নিয়মিত দফতরে আসেন না। মন্ত্রী তো বটেই, প্রতিমন্ত্রীরাও দফতরের সচিবদের বাড়িতে ডেকে পাঠিয়ে ফাইলে সই করান। অনেক সময়ে আলোচনার প্রয়োজনেও মন্ত্রীদের পাওয়া যায় না। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী এ দিন বলেন— সব মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীকে সকাল সাড়ে ন’টায় দফতরে হাজির হতেই হবে। বাড়িতে থেকে মন্ত্রকের কাজ করা কিছুতেই বরদাস্ত করা হবে না।
মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে আর একটি বড় অভিযোগ ছিল সাংসদদের। মন্ত্রী হয়েছেন বলে তাঁরা সাধারণ সাংসদদের পাত্তাই দেন না। প্রধানমন্ত্রী বলেন— ‘মনে রাখবেন সাংসদ হয়েই আপনারা মন্ত্রী হয়েছেন। সুতরাং, আগে আপনারা সাংসদ, পরে মন্ত্রী। সাংসদদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে কাজ করতে হবে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীদের।’ মোদী বুঝিয়ে দেন, মন্ত্রিত্বের অহংকার যেন কারও আচরণে প্রকাশ না পায়। কিছু মন্ত্রী সাংসদ হিসেবে নিজের কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগটুকুও রাখতেন না। মোদী জানান, এটা চলবে না। সূত্রের খবর, মোদী তাঁর বক্তৃতায় বলেছেন— মনে রাখবেন কাজ দেখেই মানুষ এই সরকারকে ফের ক্ষমতায় এনেছে। সুতরাং আরও কাজ করে মানুষের আস্থা ধরে রাখতে হবে। ক্যাবিনেট মন্ত্রীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অধীনস্থ সব প্রতিমন্ত্রীকে সমান ভাবে কাজ বুঝিয়ে দিতে হবে। ফাইল ছাড়তে দেরি হলে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করতে হবে।
রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল মন্ত্রীদের বলেন, কী ভাবে আগামী পাঁচ বছরের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’ আগেভাগে তৈরি করে সেই অনুসারে কাজ করতে হবে। বাজেটে মন্ত্রকের চাওয়া-পাওয়া নিয়ে বলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কী ভাবে সংসদের অধিবেশনকে আরও বেশি কাজে লাগানো য়ায়, মন্ত্রীদের উপদেশ দেন গত বারের সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী নরেন্দ্র সিংহ তোমর।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও। সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের YouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy