Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

সুষমা প্রসঙ্গে মোদী চুপ, সরব গডকড়ী

কিছু দিন আগে লখনউ পাসপোর্ট অফিসে ধর্ম নিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ তোলেন এক দম্পতি। সুষমাকে টুইট করার পরে তড়িঘড়ি তাঁদের পাসপোর্ট দেওয়া হয়। বদলি করা হয় অভিযুক্ত আধিকারিককে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী। ফাইল চিত্র

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশমন্ত্রী। ফাইল চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৯
Share: Save:

সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু টুইটে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে আক্রমণ করা নিয়ে একটি শব্দও উচ্চারণ করলেন না।

কিছু দিন আগে লখনউ পাসপোর্ট অফিসে ধর্ম নিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ তোলেন এক দম্পতি। সুষমাকে টুইট করার পরে তড়িঘড়ি তাঁদের পাসপোর্ট দেওয়া হয়। বদলি করা হয় অভিযুক্ত আধিকারিককে।

তাতে গোঁসা হয় সঙ্ঘ পরিবারের। অভিযোগ ওঠে মুসলিম তোষণের জন্যই অন্যায় ভাবে শাস্তি দেওয়া হয়েছে ওই আধিকারিককে। এর পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সুষমাকে গাল পাড়া শুরু করেন সঙ্ঘ-ঘনিষ্ঠ বিভিন্ন ব্যক্তি। প্রায় দেড় সপ্তাহ লাগাতার ট্রোল চললেও মোদী এবং অমিত শাহের কিন্তু মুখে কুলুপ।

সুষমা প্রশ্নে বিজেপির অন্দরে মতভেদের জল্পনা উস্কে গত কালই বিদেশমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। আজ তাঁর সুরে সুর মিলিয়েছেন আর এক বিজেপি মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী এবং শরিক দলের মন্ত্রী রামবিলাস পাসোয়ান। পর পর তিন মন্ত্রী প্রকাশ্যে সুষমার পাশে দাঁড়ানোয় জল্পনা আরও তীব্র হয়েছে। কারণ, রাজনাথ ও নিতিন মোদী-বিরোধী আর রামবিলাস ‘হাওয়া-মোরগ’ বলেই রাজনীতিক মহলে পরিচিত।

গডকড়ী আজ বলেন, ঘটনার সময় সুষমা দেশেই ছিলেন না। যে ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে হামলা হচ্ছে, সেটি দুর্ভাগ্যজনক। তবে বিজেপি সূত্র বলছে, রাজনাথ ও গডকড়ী, দু’জনেই টুইটারের লড়াইয়ে রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছেন সুষমাকে। কিন্তু তাতে কান না-দিয়ে আজই নিন্দার ঝড় তোলা মোদী-ভক্তদের টুইটারে ব্লক করা শুরু করেছেন তিনি।

সোনম মহাজন নামে এক মহিলা আজ সকালে সুষমার উদ্দেশে টুইটারে লেখেন, ‘‘এক সময়ে আপনার ভক্ত ছিলাম। আপনার বিরুদ্ধে যাঁরা খারাপ কথা বলে, তাঁদের বিরুদ্ধে বলতাম। কিন্তু এখন আপনি আমাকে ব্লক করে দিয়ে পুরস্কার দিন। ...ইন্তেজার রহেগা।’’ জবাব দিতে সময় নষ্ট করেননি সুষমা। লেখেন, ‘‘ইন্তেজার কিঁউ? লিজিয়ে ব্লক কর দিয়া।’’

আর আজই এক সাক্ষাৎকারে সোশ্যাল মিডিয়ার গুণকীর্তন করলেন মোদী। বললেন, সোশ্যাল মিডিয়ার আবির্ভাব বিতর্ককে আরও গণতান্ত্রিক করে দিয়েছে। আগে শুধু ‘স্ব-নিযুক্ত’ বিশেষজ্ঞরা নানা বিষয়ে মতামত দিতেন, এখন টুইট-ফেসবুকে আম নাগরিকরাও মত প্রকাশ করছেন। এটাই তো সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি।

আর এর পরেই প্রশ্ন উঠল, বিদেশমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কটাক্ষ নিয়ে কিছু বলার বদলে সোশ্যাল মিডিয়ার শক্তি নিয়ে মন্তব্য করে কি ঘুরপথে সুষমাকেই বার্তা দিলেন মোদী? যাঁরা বিদেশমন্ত্রীর নিন্দা করছেন, তাঁদেরই পাশে দাঁড়ালেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE