Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

দেশ লুটছে মোদীদেরই সিন্ডিকেট: তৃণমূল

পাল্টা আক্রণে গেলেন লোকসভায়। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে আজ মোদী-সিন্ডিকেটকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সাংসদরা।

নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

নরেন্দ্র মোদী। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৬
Share: Save:

চার দিন আগেই মেদিনীপুরে গিয়ে রাজ্যে ক্ষমতাসীন তৃণমূলের মদতে সিন্ডিকেট রাজের অভিযোগে সরব হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

তৃণমূলের নেতারা মাঠে-ময়দানে এই অভিযোগ নস্যাৎ করে যাচ্ছিলেন। আজ পাল্টা আক্রণে গেলেন লোকসভায়। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনার মঞ্চকে কাজে লাগিয়ে আজ মোদী-সিন্ডিকেটকে নিশানা করলেন তৃণমূলের সাংসদরা।

এমনটাই নির্দেশ ছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলের সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, মোদী সরকারকে রাজনৈতিক ভাবে আক্রমণ করতে হবে। এ দিন লোকসভায় সেই কাজটিই করেছেন সৌগত রায় এবং দীনেশ ত্রিবেদী। সৌগতবাবুর কথায়, ‘‘নীরব মোদী, ললিত মোদী এবং আরও এক জন মোদী মিলে সিন্ডিকেট তৈরি করে দেশকে লুটছেন!’’ এ কথা বলতেই পরই সরকারি বেঞ্চ থেকে থেকে চিৎকার শুরু হয়। তৃণমূল সাংসদের জবাব, ‘‘মোদী তো কোনও অসাংবিধানিক শব্দ নয়! আমি তো তৃতীয় মোদীর নাম বলিনি!’’ এ বার অমিত শাহের নাম না করে সৌগতবাবু বলেন, ‘‘বিজেপির যদি মেদিনীপুরে রাজনৈতিক সভা করার থাকত তা হলে তো তিনি (প্রধানমন্ত্রী মোদী) তাঁর মোটাভাইকে পাঠিয়ে দিতে পারতেন! উনি কাজ করবেন না গোটা দেশ স্রেফ ঘুরে বেড়াবেন!’’

মেদিনীপুরের সভার উল্লেখ করে সৌগতবাবু আজ বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী এখন ভ্রাম্যমান সেলসম্যানের মতো আচরণ করছেন। কোনও কারণ ছাড়াই দেশের প্রধানমন্ত্রী মেদিনীপুরে চলে গেলেন। সেখানে কোনও প্রকল্পের ঘোষণা করলেন না। প্রশাসনিক বৈঠক করলেন না। শুধু তৃণমূলের বিরুদ্ধে কুৎসা করলেন। রাজনীতির চর্চাকে আর কত নীচে নামাবেন তিনি! এতটাই নীচে এনে ফেলেছেন যে ওখানকার ছাউনিই ভেঙে পড়েছে।’’ সৌগতবার দাবি, ‘‘টিডিপির জোট ছাড়া, শরিক শিবসেনার বয়কটেই প্রমাণ এই সরকার যে আস্থা খুইয়েছে। একের বিরুদ্ধে এক লড়াই হলে ২০১৯ -এ বিজেপির হার নিশ্চিত।’’

নোটবাতিল থেকে শুরু করে মোদীর কৃষি নীতি, মেরুকরণ— বিভিন্ন বিষয় ধরে ধরে আজ কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তৃণমূল সাংসদরা। দীনেশ ত্রিবেদীর কথায়, ‘‘বিজেপির কাছে রাম শুধুমাত্র অযোধ্যাতেই বিরাজমান। কিন্তু আমরা সর্বত্রই রামকে দেখি। প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যেই রাম রয়েছেন।’’ বিজেপি যে বারবার রামায়ণ, মহাভারতের প্রসঙ্গ তুলে আনে তার জন্য তাদের ধন্যবাদ দিয়ে দীনেশ বলেন, ‘‘পান্ডবের কাছে হয়তো সংখ্যা ছিল না কিন্তু সত্য ছিল। আমাদেরও হয়তো আজকের ভোটাভুটিতে সংখ্যা নেই। কিন্তু মৃতপ্রায় গণতন্ত্রকে বাঁচানোর জন্য আমাদের এই লড়াই সত্যের।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE