Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Citizenship Amendment Act

রামলীলা ময়দানে মোদীর প্রধান নিশানা আজ ছিলেন মমতাই

কলকাতা থেকে সটান রাষ্ট্রপুঞ্জে পৌঁছে গিয়েছেন, সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ নরেন্দ্র মোদীর।

মমতাকে তীব্র আক্রমণ মোদীর। —ফাইল চিত্র।

মমতাকে তীব্র আক্রমণ মোদীর। —ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:০২
Share: Save:

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই যে তাঁরা প্রধান প্রতিপক্ষ বলে মনে করছেন, রবিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণে ফের একবার তা স্পষ্ট হয়ে গেল। গত ১১ ডিসেম্বর সংসদে নাগরিক সংশোধনী বিল (সিএবি) পাশ হওয়ার পর, এ দিনই প্রথম তা নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীকে। সেই সঙ্গে দিল্লির রামলীলা ময়দানে নিজের ভাষণের একটা বড় অংশই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করতেই ব্যয় করলেন তিনি।

প্রাণ থাকতে বাংলায় সিএএ এবং এনআরসি হতে দেবেন না বলে ইতিমধ্যেই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা নিয়ে গত সপ্তাহে একাধিক বার পথেও নেমেছেন তিনি। কত জন সিএএ-র পক্ষে এবং কত জন বিপক্ষে, তা পরখ করে দেখতে সেখানে রাষ্ট্রপুঞ্জ বা মানবাধিকার কমিশনের মতো নিরপেক্ষ সংগঠনকে দিয়ে গণভোট করানোর সুপারিশও করেন তিনি। যদিও পরে সেই মন্তব্য থেকে সরে দাঁড়ান মমতা। জানান, ‘‘আমার মন্তব্যের অপব্যাখ্যা হয়েছে। রাষ্ট্রপুঞ্জের তদারিকতে ভোট হোক, শুধু এটুকুই বলেছিলাম আমি।’’

কিন্তু এ দিন রামলীলা ময়দানে দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচার সভা থেকে মমতার সেই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘‘কলকাতা থেকে সটান রাষ্ট্রপুঞ্জে পৌঁছে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অথচ কয়েক বছর আগে এই মমতাই সংসদে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের তাড়ানোর কথা বলতেন। বলতেন, ধর্মীয় নিপীড়ণের শিকার হয়ে সেখান থেকে আসা শরণার্থীদের সাহায্য করা হোক। সেইসময় সংসদে স্পিকারের সামনে কাগজও ছুড়ে ফেলে দেন তিনি। এখন কী আপনার কী হল দিদি? হঠাৎ কেন পাল্টে গেলেন? কেন গুজব ছড়াচ্ছেন? নির্বাচন আসবে যাবে, ক্ষমতা আসবে যাবে, এত ভয় পাচ্ছেন কেন? বাংলার মানুষের উপর বিশ্বাস রাখুন। হঠাৎ তাঁদের উপর থেকে বিশ্বাস উঠে গেল কেন? কেন বাংলার মানুষকে শত্রু ভাবছেন?’’

বিজেপির টুইটার হ্যান্ডল থেকেও মোদীর ভাষণের কিছু অংশ টুইট করা হয়।

২০১৬-র শেষ দিকে ডানকুনি, পালসিট, মুর্শিদাবাদ-সহ রাজ্যের বেশ কিছু টোলপ্লাজায় সেনাবাহিনী মোতায়েন নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য সঙ্ঘাত চরমে ওঠে। তা নিয়েও এ দিন মমতাকে একহাত নেন মোদী। তিনি বলেন, ‘‘কয়েক বছর আগে কলকাতার বাইরে রুটিন কর্মসূচি চালাচ্ছিল সেনা। তা নিয়ে হাঙ্গামা শুরু করে দেন দিদি। বলতে শুরু করেন, বাংলায় সেনা পাঠিয়েছেন মোদী। আর আজ নাগরিকত্ব বিল নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। আপনার সমস্যা আমি বুঝি দিদি। আপনি কাদের সমর্থন করছেন আর কাদের বিরোধিতা করছেন, গোটা দেশ তা দেখছে।’’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি, এ দিন কংগ্রেস এবং সিপিএম নেতাদেরও একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। প্রশ্ন তোলেন, দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ নিজে সংসদে বাংলাদেশি শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেছিলেন। প্রকাশ কারাটও তা নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাহলে মোদীর বেলায় দোষ কেন?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE