—ফাইল চিত্র।
দিল্লির মসনদে দ্বিতীয় ইনিংস শুরুর পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরের প্রথম গন্তব্য হতে চলেছে মলদ্বীপ। কূটনৈতিক সূত্রের খবর, প্রথমেই সার্কভুক্ত ওই প্রতিবেশী রাষ্ট্রে গিয়ে মোদী একটি কৌশলগত বার্তা দিতে চাইছেন। গত কয়েক বছর ধরে মলদ্বীপে ব্যাপক ভাবে প্রভাব বাড়িয়েছে চিন। ওই দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতের প্রভাব বাড়াতেই মোদীর সফরের সিদ্ধান্ত।
আগামী মাসের ৭ তারিখ ওই দ্বীপরাষ্ট্রে দু’দিনের সফরে যাওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীর। মলদ্বীপ থেকে ফিরে জুনের মাঝামাঝি সময়ে মোদী যেতে পারেন কিরঘিজস্তানে।
পাঁচ বছর আগে কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর প্রথম বিদেশ সফরে ভুটানকে বেছে নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এ বারেও বিদেশ সফরের জন্য প্রতিবেশী রাষ্ট্রই হতে চলেছে মোদীর গন্তব্য। চিন গত কয়েক বছর ধরে মলদ্বীপে এতটাই প্রভাব বাড়িয়েছিল যে ওই দ্বীপরাষ্ট্রে ভারতের দরজা এক সময় কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হয় গত বছর ফেব্রুয়ারিতে আবদুল্লা ইয়ামিন জরুরি অবস্থা জারি করার পর। মলদ্বীপকে মাঝখানে রেখে নয়াদিল্লি এবং বেজিংয়ের ঠান্ডা লড়াই চলেছিল বছরভর।
গত বছর মলদ্বীপে ক্ষমতার পরিবর্তন হয়। চিনপন্থী হিসাবে পরিচিত আবদুল্লা ইয়ামিন সরকারের পতনের পর সে দেশে সরকার গঠন করেন মহম্মদ সোলিহ। নভেম্বরে তিনি ক্ষমতাসীন হওয়ার পর তাঁর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মোদী হাজির ছিলেন। সেটিই তাঁর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম মলদ্বীপ সফর। চিনকে এড়িয়ে ভারতের সঙ্গে মলদ্বীপের বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার একটি বড় নীল নকশা তৈরি হয় সে দেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর।
বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, দ্বিতীয় ইনিংসেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে চান মোদী। এর পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়টি আরও বাড়ানো হবে। লোকসভা নির্বাচনে বিপুল জয়ের পর মোদীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন সোলিহ। দ্বিতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হয়ে ওই দেশটিকে প্রথম সফরের গন্তব্য করার সিদ্ধান্তকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে কূটনৈতিক শিবির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy