ভোটের আগে দলের কর্মীদের প্রতি বুথে ভোটারদের মন জয়ের মন্ত্র দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। উল্টে রাহুল গাঁধী আর বিরোধী জোট নিয়ে তাঁদের ভয় দূর করতেই ব্যস্ত থাকতে হল।
গত সপ্তাহেই রাজস্থানে সভা করার পর কয়েক জন বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদীর কাছে আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দল এ বারে আর জিতবে না। মোদী তাঁদের অভয় দেন, ‘‘সব ঠিক হয়ে যাবে।’’ এর পরেই কিছু নির্বাচন কেন্দ্র বাছাই করে ‘নমো-অ্যাপ’-এর মাধ্যমে কর্মীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। নবরাত্রির
শুরুর দিন আজ কেই মোদীর কাছে কংগ্রেস ও বিরোধী জোট নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন একের পর এক বিজেপি কর্মী। জবাবে মোদী কখনও বললেন, ‘‘বিরোধীদের অপপ্রচার নিয়ে সময় নষ্ট করবেন না।’’ আবার কখনও বললেন, ‘‘হাতে তথ্য নিয়ে মোকাবিলা করুন।’’ কর্মীদের চাঙ্গা করতে মোদী বলেন, ‘‘যাঁরা আগে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়তেন, তাঁরাই এখন ক্ষমতার জন্য একজোট হচ্ছেন। বিজেপির কাজ, রাজ্যে রাজ্যে এদের চরিত্র, ইতিহাস মানুষকে মনে করানো। এঁরা দেশের মঙ্গলের জন্য একজোট হচ্ছেন না। এঁদের লক্ষ্য শুধু মোদীকে হঠানো।’’ এহেন দাবি সত্ত্বেও ঘরোয়া আলোচনায় অনেক বিজেপি নেতাই বলছেন, পাঁচ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস ভাল ফলই করবে। সেটা হলে লোকসভা ভোটের আগে শুধু যে বিরোধী জোটই জোরদার হবে তা নয়, কংগ্রেসের নেতৃত্বও মানতে
বাধ্য হবে অন্য বিরোধী দলগুলি।
এই পরিস্থিতিতে আসন্ন বিধানসভা ভোটকে লোকসভা ভোটের ‘সেমিফাইনাল’ না-বলার পরামর্শও দলীয় কর্মীদের দিয়েছেন মোদী। সেই সঙ্গে কর্মীদের চাঙ্গা করতে আক্রমণ করেছেন কংগ্রেসকে। বলেছেন, ‘‘কংগ্রেস আর তাদের সহযোগীরা শুধু দেশ বিভাজন করে। আমরা সুখ বণ্টন করি, আর তারা সমাজ।’’ যা শুনে কংগ্রেসের এক নেতার মন্তব্য, ‘‘খোদ নরেন্দ্র মোদীও ভয় পাচ্ছেন! বোঝাই যাচ্ছে দেওয়াল লিখন স্পষ্ট।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy