স্বাগত। দলে যোগ দেওয়ার পর রাহুলের বাড়িতে। রবিবার পিটিআইয়ের ছবি।
‘নতুন ইনিংস শুরু হল। সেটা ফ্রন্ট ফুটেই। পঞ্জাব, পঞ্জাবিয়ৎ এবং পঞ্জাবের প্রতিটি মানুষের যেন জয় হয়।’
আজ সকালে কংগ্রেস যোগ দেওয়ার পর টুইট করলেন নভজোৎ সিংহ সিধু। বিজেপি থেকে বেরিয়ে আসার পর বেশ কিছু দিন ধরেই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে চলছিলেন তিনি। স্থির ছিল কংগ্রেস সহ-সভাপতি রাহুল গাঁধী ছুটি কাটিয়ে দেশে ফিরলেই কংগ্রেসে অভিষেক হবে এই প্রাক্তন ক্রিকেটারের। আজ ভোরে রাহুল গাঁধীর বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন সিধু। তাঁকে তেরঙ্গা উত্তরীয় পরিয়ে দেন রাহুল। পরে আনুষ্ঠানিক ভাবে তিনি কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর দলের মুখপাত্র রণদীপ সিংহ সুরজেওয়ালা জানান, ‘‘কংগ্রেস পরিবারে নভজোৎ সিংহ সিধুকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। কংগ্রেসের ছাতার তলায় সমমনস্ক মানুষকে একত্রে নিয়ে আসার জন্য কংগ্রেস সহ-সভাপতিকেও ধন্যবাদ।’’
পঞ্জাব নির্বাচনের আগে সিধুকে নিয়ে এসে তাঁকে কী ভাবে কাজে লাগানো হয়, এখন সেটাই দেখতে চাইছে রাজনৈতিক শিবির। সূত্রের খবর, সিধু সম্পর্কে আগ্রহ দেখিয়েছেন খোদ প্রিয়ঙ্কা বঢরা। তাঁর নির্দেশে কংগ্রেস নেতা গুলাম নবি আজাদ কথা বলেন সিধুর সঙ্গে। ৫৩ বছরের এই ‘তারকা’ নেতাকে পঞ্জাবে অকালি দল এবং আপ-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ‘ভোট-ক্যাচার’ হিসেবে কাজে লাগাতে চাইছেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামি ৪ ফেব্রুয়ারি পঞ্জাবে ভোট। রণদীপের কথায়, ‘‘আদর্শের প্রতি আনুগত্য ও রসবোধের কারণে সিধুকে সবাই চেনে। আমরা নিশ্চিত সিধুর দলে আসায় কংগ্রেসের বিরাট লাভ হবে।’’
তবে অনেকেই মনে করছেন, সমস্যা এখনও আছে। কারণ পঞ্জাবের কংগ্রেস নেতা ক্যাপ্টেন অমরেন্দ্র সিংহ অতীতে সিধুকে ‘ক্লাউন’ ও তাঁর দল ‘আওয়াজ-এ-পঞ্জাব’কে ‘জোকার পার্টি’ বলার পর থেকেই উভয় পক্ষের দূরত্ব বাড়তে থাকে। তবে প্রিয়ঙ্কা নিজে বার্তা দেওয়ায় সেই দূরত্ব আগের চেয়ে অনেক কমেছে। হাইকম্যান্ডের মনোভাব বুঝে সুর নরম করেছেন অমরেন্দ্র সিংহ। জানিয়েছেন, বিজেপি বিরোধিতার প্রশ্নে সিধু ও কংগ্রেস এক নৌকোর সওয়ারি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy