—ফাইল ছবি
করোনা সঙ্কটের মধ্যে সিলেবাসের ওজন কমাতে গিয়ে চরম বিতর্কে পড়েছিল সিবিএসই। একাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পাঠক্রম থেকে নাগরিকত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ধর্মনিরপেক্ষতা, দেশভাগের মতো বিষয় ছেঁটে ফেলেছিল তারা। এ বার দ্বাদশ শ্রেণির রাষ্ট্রবিজ্ঞান পাঠক্রম থেকে জম্মু-কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী রাজনীতির অংশ সম্বলিত অধ্যায় বাদ দিয়ে দিল ন্যাশনাল কাউন্সিল অব এডুকেশনাল রিসার্চ অ্যান্ড ট্রেনিং (এনসিইআরটি)। তার বদলে কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ) খারিজ করার বিষয়টি জোড়া হয়েছে।
রাজ্য থেকে জম্মু-কাশ্মীরের কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বদলে যাওয়া। দ্বিতীয় দফার মোদী সরকারের এই পদক্ষেপটির কথা ঠাঁই পেয়েছে ‘পলিটিকস ইন ইন্ডিয়া সিন্স ইন্ডিপেন্ডেমন্স’, এই বইয়ের ‘রিজিওনাল অ্যাসপিরেশনস’ এই অধ্যায়ে। গত বছর ৫ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অর্থাৎ সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজ করে দেওয়া হয়েছিল। ওই রাজ্যটিকেও দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে ফেলা হয়।
‘সেপারেটিজম অ্যান্ড বিয়ন্ড’ এই নামে একটি অধ্যায় ছিল ওই পাঠক্রমে। তাতে ১৯৮৯ সাল থেকে কী ভাবে জম্মু-কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন গড়ে উঠেছিল, কী কী তাদের দাবি ছিল সেগুলি ছিল। তা এখন সিলেবাস থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলাকে গুজরাত চালাবে না, একুশের ভার্চুয়াল সভা থেকে হুঙ্কার মমতার
তার বদলে যোগ হয়েছে ‘২০০২ অ্যান্ড বিয়ন্ড’ নামে একটি অধ্যায়। তাতে মেহবুবা মুফতির পিডিপির সঙ্গে বিজেপির জোট সরকার। জম্মু-কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া এবং ২০১৯-এ সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ খারিজ করার মতো বিষয়গুলি সম্পর্কে বলা হয়েছে। মেহবুবা মুফতির সময়ে ঘটা নাশকতার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়াও, আগের সিলেবাসে লেখা ছিল, ‘কাশ্মীরের হৃৎপিণ্ড হচ্ছে কাশ্মীর উপত্যকা।’ এখন তা সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার বদলে বলা হয়েছে, ‘জম্মু পার্বত্য অঞ্চল এবং সমভূমি দুটো নিয়েই জম্মু। এখানে প্রধানত হিন্দুরা থাকেন। মুসলিম, শিখ এবং অন্য জনজাতির মানুষও এখানে থাকেন।’ দুটি অংশেই ‘কাশ্মীরিয়ত’-এর কথা বলা রয়েছে। কিন্তু নতুন অধ্যায়ে ‘কাশ্মীরি পরিচয়’-এর কথা বলা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারত মহাসাগরে চিনের বাড়াবাড়ি, আগামী বছরই সাবমেরিন ধ্বংসকারী বিমান হাতে পাচ্ছে ভারত
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy