রাজ্যসভায় অমিত শাহ।- ফাইল চিত্র।
দূর থেকে কোনও বিরোধী সাংসদকে ওয়েলের দিকে ছুটে আসতে দেখলেই সাধারণত চোখের পলক পড়ার আগে সভা মুলতুবি করে দেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নায়ডু।
আজ পড়লেন চরম বিড়ম্বনায়। ওয়েলে নেমে চিল-চিৎকার করছেন কংগ্রেস, তৃণমূল সাংসদরা। কিন্তু সভা মুলতুবি করতে ইতস্তত করছেন বেঙ্কাইয়া। কারণ, অমিত শাহ সবে বলতে উঠেছেন। আর বক্তৃতার প্রথম এক মিনিটেই বুক ঠুকে বলেছেন, ‘‘রাজীব গাঁধীর সময়ে অসম-চুক্তির মাধ্যমেই নাগরিক পঞ্জিকরণ প্রক্রিয়া শুরু হয়। কংগ্রেসের সাহস হয়নি, আমাদের হয়েছে।’’ এতক্ষণ বাকি সব দলকে সংযমের পাঠ পড়াচ্ছিলেন বেঙ্কাইয়া। যাতে কেউ এই নিয়ে রাজনীতি না করেন। কিন্তু অমিত শাহ উঠে রাজনীতির কথাই বলতে শুরু করলেন। আর বিরোধী শিবির রে-রে করে নেমে পড়লেন ওয়েলে। বিরোধী দলের এক নেতা পরে বললেন, ‘‘অন্য সময় হলে চেয়ারম্যান সঙ্গে সঙ্গে সভা মুলতুবি করতেন। কালকের মতো আজও তৃণমূল ওয়েলে নামার আগেই মুলতুবি করেছেন। এমনকি তৃণমূলের হাঙ্গামার সময় রাজ্যসভা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধও রেখেছেন। কিন্তু উপরাষ্ট্রপতির প্রাক্তন দলের সভাপতির বক্তব্য যখন অসমাপ্ত, তখন আর মুলতুবি করেন কী করে?’’
গত সপ্তাহেই রাজ্যসভায় এক বিরোধী সাংসদ বেঙ্কাইয়ার বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনেছিলেন। পরে অবশ্য তাঁকে ক্ষমা চাইতে হয়। বাকি বিরোধী দলের নেতারাও চেয়ারম্যান পদের সম্মান রাখা জরুরি বলে জানান। কিন্তু আদতে অনেকেই মনে করছেন, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান হোন বা লোকসভার স্পিকার— পক্ষপাতিত্ব ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। বেঙ্কাইয়া আজ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে শেষ পর্যন্ত সভা মুলতুবি করেই দেন।
আজ লোকসভাতেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু শ্রীলঙ্কার বদলে তামিলনাড়ু থেকে শরণার্থী এসেছেন বলে মন্তব্য করেন। বিরোধীরা হল্লা করতে পরিত্রাতার ভূমিকায় নামেন স্পিকার সুমিত্রা মহাজন। বলেন, ‘‘এমন ভুল হতেই পারে।’’ ভুল নিয়ে অবশ্য আজ কিছুটা ধমকের সুরে স্পিকারকে সতর্ক করেন বিজেপিরই প্রবীণ নেতা মুরলীমনোহর জোশী। লোকসভার এজেন্ডা পেপারে লেখা একটা ভুল ধরে স্পিকারকে বলেন, ‘‘বারবার কেন ভুল হচ্ছে?’’ স্পিকার যতই ভুল স্বীকার করেন, জোশী নাছোড়বান্দা। শেষে সেক্রেটারি জেনারেলকে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দেন সুমিত্রা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy