হেলিকপ্টারে বাম্বি বাকেটের মাধ্যমে আগুন নেভানোর চেষ্টা। ছবি সেনাবাহিনীর সৌজন্যে।
জুকো ভ্যালির পাহাড়-জঙ্গলে দাবানল নাগাল্যান্ডের দিকে নিয়ন্ত্রণে এলেও মণিপুরের দিকে তার তেজ বাড়ছে। তাই বায়ুসেনা, স্থলসেনার পাশাপাশি কাজে লাগানো হল জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী বা এনডিআরএফকেও। বায়ুসেনার এমআই-১৭ ভি৫ কপ্টার গত কাল থেকে আগুন নেভানোর কাজে লাগানো হয়েছে। একটি সি-১৩০জে হারকিউলিস বিমান ৯ টন অগ্নিনির্বাপক সামগ্রী ও যন্ত্রপাতি এবং এনডিআরএফের ৪৮ জন জওয়ানকে নিয়ে গুয়াহাটি থেকে ডিমাপুর পৌঁছেছে। আজ থেকে আগুন নেভানোর বাম্বি বাকেট-সহ আরও তিনটি হেলিকপ্টারকে কাজে লাগানো হয়।
মণিপুরের দিকে দুই শতাধিক দমকলকর্মীও পাহাড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ দ্রুত সাহায্য পাঠানোর জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ দিয়ে জানান, ৬০ জন এনডিআরএফ জওয়ান স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও দমকলকর্মীদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে কাজ করছেন। জুকো ভ্যালির দক্ষিণ অংশে আগুন এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তবে পূর্ব দিকে মাউন্ট খুংঘোর দিক থেকে মন জেলার দিকে যে দাবানল ছড়াচ্ছিল— তা নিয়ন্ত্রণ করা গিয়েছে।
নাগাল্যান্ড ও মণিপুর সরকার জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই দাবানলের জেরে জুকোর পাহাড়-জঙ্গলের বিস্তীর্ণ অংশ ভস্মীভূত। বাস্তুতন্ত্র ও প্রাণীদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। ফোনে খোঁজখবর রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগুন লাগার কারণ সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অনেকের মতে, জঙ্গলে শিকার করতে যাওয়া গ্রামবাসীরাই আগুন জ্বালিয়েছিলেন। সেটাই ছড়িয়ে পড়েছে। কারও মতে, ঝুম চাষের জন্য ঝোপ পোড়ানো হচ্ছিল। তা থেকে দাবানলের সূত্রপাত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy