অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।
নখে নেলপলিশ পরা নাকি বেআইনি! ইসলাম বিরুদ্ধ! উত্তরপ্রদেশের ইসলামি সংগঠন ‘দারুল উলুম দেওবন্দ’ অন্তত তেমনটাই দাবি করছে। মুসলিম মহিলাদের নখে নেলপলিশ পরার বিরোধিতা করছে তারা। জারি করেছে ফতোয়া। নমাজ পড়তে গেলে এই নিয়ম মানতেই হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে যে কয়েকটি ইসলামি সংগঠন রয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ‘দারুল উলুম দেওবন্দ।’ ওই সংগঠনের সদস্য, ধর্মগুরু ইশরার গৌড় বলেন, ‘‘মুসলিম মহিলাদের নেলপলিশ ব্যবহারের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি করা হয়েছে। কারণ নখে নেলপলিশ পরা ইসলাম বিরুদ্ধ এবং বেআইনি। তার বদলে নখ মেহেন্দি পরতে পারেন তাঁরা।’’
কিন্তু মহিলাদের প্রসাধনী ব্যবহার নিয়ে ইসলামে আদৌ কোনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে? সেই প্রসঙ্গে গৌড়ার মন্তব্য, ইসলামে প্রসাধনী ব্যবহারের উপর কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। চাইলেই পরতে পারেন। তবে নমাজ পড়ার আগে তুলে ফেলতে হবে। তাঁর যুক্তি, নমাজের আগে ভাল করে হাত ধুতে হয়। নেলপলিশ পরা থাকলে হাত ঠিকমতো পরিষ্কার হয় না।
আরও পড়ুন: ঠিকুজি-কুষ্ঠি বের করে ফেলেছি, ৪ দিনের মধ্যে টের পাবেন পুলিশ কর্মীরা, হুঁশিয়ারি মনোজের
তাঁর এমন মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছে পেশায় আইনজীবী ও ‘রাষ্ট্রবাদী মুসলিম মহিলা সঙ্ঘ’-এর জাতীয় সভাপতি ফারহা ফৈজ। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘কই পুরুষদের বেলায় তো এমন ফতোয়া বসে না? ইসলামে তো অনেক কিছুই নিষিদ্ধ। তা সত্ত্বেও দিব্যি চলছে। যত নিয়ম খালি মহিলাদের বেলায়। সব নিয়ম মানার দায় যেন খালি মহিলাদেরই! পাকিস্তানেও দারুল উলুম রয়েছে। ওরা এমন ফতোয়া দেয় না। এ সব শুধু ভারতেই চলে।’’
চলতি বছরের শুরুতে মহিলাদের ফুটবল ম্যাচ দেখার বিরুদ্ধেও ফতোয়া জারি করে ‘দারুল উলুম দেওবন্দ।’ সেবার বলা হয়, ‘‘শর্টস পরে ফুটবল খেলেন পুরুষরা। উরু পর্যন্ত খালি থাকে। এই অবস্থায় তাঁদের খেলতে দেখা উচিত নয় মহিলাদের। আমাদের ধর্ম এই ধরনের আচরণে অনুমতি দেয় না।’’
সৌদি আরবে মাঠে গিয়ে মহিলাদের ফুটবল খেলা দেখার উপর থেকে যখন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়, ঠিক সেই সময়ই এই ফতোয়া জারি করে তারা। তা নিয়ে কম সমালোচনা হয়নি। তবে একবার-দু’বার নয়, মহিলাদের চুল কাটা, ভুরু তোলা সহ নানা ইস্যুতে একাধিকবার আপত্তি তুলেছে ‘দারুল উলুম দেওবন্দ।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy