Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

নয়া সামরিক সমঝোতা দিল্লি, ওয়াশিংটনের

আমেরিকার সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রে ভারতের নয়া সমঝোতার ফলে বাড়বে দু’দেশের বাহিনীর গোপন বার্তার আদানপ্রদান। আজ দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরে (টু প্লাস টু) এক নয়া চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

পাশাপাশি: মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো এবং প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লিতে। পিটিআই

পাশাপাশি: মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো এবং প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নয়াদিল্লিতে। পিটিআই

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৪০
Share: Save:

আমেরিকার সঙ্গে সামরিক ক্ষেত্রে ভারতের নয়া সমঝোতার ফলে বাড়বে দু’দেশের বাহিনীর গোপন বার্তার আদানপ্রদান। আজ দু’দেশের বিদেশমন্ত্রী এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের পরে (টু প্লাস টু) এক নয়া চুক্তি স্বাক্ষরের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ‘কমকাসা’ নামে এই চুক্তি স্বাক্ষর করা নিয়ে গোড়ায় নিমরাজি ছিল নয়াদিল্লি। তার কারণ এর ফলে আমেরিকার গোপন (এনক্রিপটেড) কিছু সামরিক খুঁটিনাটির হদিস পাওয়া যাবে ঠিকই, কিন্তু বিনিময়ে ভারতকেও খুলে দিতে হবে নিজেদের গোপন তথ্য এবং নেটওয়ার্ক। তবে শেষ পর্যন্ত দ্বিপাক্ষিক জটের অন্যান্য জায়গাগুলিকে সহজ করার লক্ষ্যেই শেষ পর্যন্ত নয়াদিল্লি মার্কিন অনুরোধে রাজি হয়েছে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর, এই সমঝোতার ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় চিনা জাহাজের গতিবিধি সম্পর্কে মার্কিন জাহাজ তথ্য পেলে তা হাতে আসবে ভারতেরও।

আজ দু’দেশের মন্ত্রী পাশাপাশি বসে পাকিস্তানকে একযোগে সন্ত্রাস প্রশ্নে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। গতকালই ইসলামাবাদে গিয়ে সন্ত্রাস নিয়ে পাকিস্তানকে কড়া কথা শুনিয়ে এসেছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয়ো। মুম্বই হামলার পিছনে যারা তাদের শাস্তির জন্য আজ নয়াদিল্লিতে সওয়াল করেছেন মার্কিন প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিস। পাকিস্তানের নাম না-করে ম্যাটিস আজ বলেছেন, ‘‘দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার মধ্যে দিয়ে ভারত এবং আমেরিকা এটা বুঝতে পারছে যে দু’দেশকেই অর্থহীন সন্ত্রাসবাদের শিকার হতে হচ্ছে। ঠিক ১০ বছর আগে মুম্বইয়ে নিরীহ মানুষকে প্রাণ দিতে হয়েছিল। নভেম্বরের সেই জঙ্গি হামলার দশম বার্ষিকী এসে গেল।’’ সন্ত্রাস মোকাবিলার সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে কমকাসা চুক্তির কথা টেনে এনেছেন মার্কিন সচিব। বলেছেন, ‘‘আজ আমরা সামরিক ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ করেছি তা দু’দেশকে আরও কাছে আনবে।’’ তাঁর পাশে বসে বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ কোনও রাখঢাক না করেই বলেছেন, ‘‘সন্ত্রাসবাদের ক্রমশই বাড়বাড়ন্ত ঘটছে পাকিস্তানে। যা আমেরিকা, ভারত এবং অন্যান্য রাষ্ট্রগুলিকেও বিপদে ফেলে দিচ্ছে।’’

এ দিনের বৈঠকের পরে ভারতের যে সম্ভাব্য লাভগুলি হয়েছে বলে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের দাবি, তার মধ্যে রয়েছে পরমাণু সরবরাহকারী গোষ্ঠী (এনএসজি)-তে ভারতের অন্তর্ভুক্তির প্রশ্নে আমেরিকার কাছ থেকে আরও সক্রিয়তার আশ্বাস। পাশাপাশি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চিনা প্রভাব কমাতে সহযোগিতার বিষয়টিও আজ গুরুত্ব পেয়েছে বৈঠকে। রাশিয়ার থেকে ক্ষেপণাস্ত্র কেনার বিষয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় ছাড় পাওয়া নিয়ে এখনও ওয়াশিংটনের থেকে কোনও পাকা কথা আদায় করতে পারেনি দিল্লি। তবে বিদেশ মন্ত্রকের এক কর্তার মতে, ‘‘বৈঠকের পরে আমরা আশাবাদী যে, রাশিয়ার সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক রক্ষায় আমাদের কোনও সমঝোতা করতে হবে না।’’ দু’দেশের বিদেশ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের মধ্যে হটলাইন চালুর সিদ্ধান্তও হয়েছে বলে খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Narendra Modi Washington Defence
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE