গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
ঘটা করে ঢাকঢোল পেটানোই সার হল! কিন্তু, কাজের কাজ এক ফোঁটাও হল না।
অনলাইনে শিশু পর্নোগ্রাফির পাশাপাশি ধর্ষণ, গণধর্ষণের মতো ঘটনার ছবি বা ভিডিয়োর ছড়িয়ে পড়া রুখতে নয়া একটি পোর্টাল চালু করেছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কিন্তু, শুরুতেই তা মুখ থুবড়ে পড়ল।
বৃহস্পতিবার চালু হয়েছিল ওই পোর্টাল। কিন্তু, শুক্রবার সেই পোর্টালের ইউআরএল www.cyberpolice.gov.in-এ ক্নিক করে দেখা গেল পোর্টালটি কোনও কাজ করছে না। দেখাচ্ছে,‘সার্ভিস নট অ্যাভলেবল’। এক দিন আগে বৃহস্পতিবার যে পোর্টাল ঘটা করে চালু হয়েছিল, তা কী করে অকেজো হয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখানেই শেষ নয়, ওই ওয়েবাসাইটেরপাশাপাশিএকটি হেল্পলাইন নম্বরও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, শুক্রবার সেই ১৫৫২৬০ নম্বরে ফোন করে শোনা গেল, আপনি একটি ভুল নম্বর ডায়াল করেছেন।
অথচ পোর্টালটি চালু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বলেছিল, ইন্টারনেটে ধর্ষণ, গণধর্ষণ কিংবা শিশু পর্নোগ্রাফি ছবি এবং ভিডিয়ো আটকানোর ব্যবস্থা এবার অনেকটাই পোক্ত হবে। জানা গিয়েছে, দেশের ১৫ হাজার থানাকেএই পোর্টালের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
ভুলেও এ সব ওয়েবসাইট খুলবেন না, যেতে হতে পারে জেলে
বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে ফের নাবালিকা ধর্ষণের অভিযোগ, সেই উত্তরপ্রদেশেই
কিন্তু, এত করেও শুরুতেই হোঁচট। অনলাইনে শিশু পর্নোগ্রাফি ঠেকানোর জন্য সেই অনলাইন ব্যবস্থাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেল। প্রশ্ন উঠছে, একটা পোর্টাল চালু করার মতো পরিকাঠামোওকি তবে কেন্দ্রের নেই? না কি সদিচ্ছার অভাব?
সাইট অ্যাড্রেস দিয়ে সার্চ করলে এখন এমনটাই দেখাচ্ছে।
এর আগে শিশুদের নীল ছবির রমরমায়উদ্বেগ প্রকাশ করে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। বলা হয়েছিল, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো যখন এই ধরনের বিষয়ে নানা রকমেরব্যবস্থা নিচ্ছে, তবে ভারত এর বাইরে থাকবে কেন? এর পরেই নড়েচড়ে বসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
দেখুন ভিডিয়ো
কী ভাবে কাজ করার কথা ছিল ওই পোর্টালের?
জানা গিয়েছে, পোর্টালের নেটওয়ার্ক জোরদার করার জন্য প্রত্যেকটি রাজ্য পুলিশের সদর দফতরে নোডাল সাইবার সেল গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়। নজরদারি চালানোর জন্য নিয়োগ করার কথা নোডাল অফিসারদের। শিশুদের নিয়ে নীল ছবি, গণধর্ষণ কিংবা ধর্ষণের ভিডিয়ো বা ছবি চোখে পড়লেই,তা প্রশাসনের নজরে আনার জন্য পোর্টালে আপলোড করা যাবে। যার ফলে ওই ছবি কিংবা ভিডিয়ো তুলে নেওয়ার জন্য ইন্টারনেটের সার্ভিস প্রোভাইডারকে নির্দেশ দেওয়া যাবে। একই সঙ্গে নেওয়া হবে পুলিশি ব্যবস্থা।
আরও পড়ুন: হোয়াটস্অ্যাপকে টক্কর দিতে এ বার রামদেবের মেসেজিং অ্যাপ ‘কিম্ভো’
কিন্তু,সেই পোর্টালে পৌঁছনই গেল না। পুলিশ থেকে সাধারণ মানুষ— সকলেই ব্যর্থ হয়েছেন। শুরুতেই হোঁচট খাওয়া পোর্টাল কবে যান্ত্রিক ত্রুটি কাটিয়ে স্বাভাবিক হবে, আর কবেই বা তা হয়ে উঠবে শিশু পর্নোগ্রাফি ঠেকানোর হাতিয়ার?
প্রশ্নটা জানা, উত্তরটা নয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy