প্রতীকী ছবি।
সদ্যোজাতের জন্মের কয়েক মিনিটের মধ্যে হাসপাতালেই তাকে জলে চুবিয়ে মারলেন মা। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, অবিবাহিতা অবস্থায় গর্ভবতী হয়ে পড়ায় হয়তো সন্তানকে মেরে ফেলেছেন তিনি। হায়দরাবাদের বছর বাইশের ওই যুবতীর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগে দায়ের করেছে পুলিশ। যুবতীর এক সঙ্গীর খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার গাচ্চিবাউলি এলাকায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন জি হেমজা নামের ওই যুবতী। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই যুবতীর সঙ্গে সে সময় এক জন অজ্ঞাতপরিচয় যুবকও ছিলেন। ভর্তির সময় হেমজা সাত-আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, রীতিমতো জিজ্ঞাসাবাদের পর তবেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন
থেঁতলানো মুখ, বিবস্ত্র অবস্থায় মিলল পড়ুয়া যুগলের দেহ
ঠিক কী হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন একটি শিশুর কান্না শুনতে পান হাসপাতালে ডিউটিরত নার্স কৃষ্ণাম্মা ও তাঁর দুই সহকর্মী। ওই কান্নার উত্স কোথায় তা জানতে বিভিন্ন ঘরে খুঁজতে শুরু করেন তাঁরা। কিন্তু, তন্নতন্ন করে খুঁজেও বোঝা যাচ্ছিল না কোথা থেকে কান্নার শব্দ আসছে! পুলিশের কাছে নিজের বয়ানে কৃষ্ণাম্মা জানিয়েছেন, শেষমেশ হাসপাতালের চারতলার শৌচাগার থেকে কান্নার শব্দ ভেসে আসছে দেখে সেখানেই তড়িঘড়ি ছুটে যান তাঁরা। গিয়ে দেখেন, রক্তে ভেসে যাচ্ছে বাথরুমের মেঝে। রক্তের মধ্যেই বেহুঁশ হয়ে পড়ে করছেন হেমজা। সামনেই একটি বাকেটভর্তি জলে ডুবে রয়েছে হেমজার সদ্যোজাত ছেলে। তত ক্ষণে আর বেঁচে নেই সে। শিশুটিকে হেমজাই প্রসব করিয়েছেন কি না তা এখন জানা যায়নি।
দুনিয়া জুড়েই বাড়ছে অবসাদ, বদল ঘটান কয়েকটি অভ্যাসে
আরও পড়ুন
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রসবের পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের জন্য অজ্ঞান হয়ে যান হেমজা। তাঁর চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে। রাইদুর্গম থানার পুলিশ জানিয়েছেন, হাসপাতাল ম্যানেজার চন্দ্র মধুসুদনের অভিযোগের ভিত্তিতে হেমজার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার হেমজার সঙ্গে আসা যুবকের বিষয়ে পুলিশকে জানিয়েছেন হাসপাতাল আধিকারিকেরা। তাঁকে খোঁজ চালানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy