— ফাইল চিত্র
বাজারের মধ্যে কাদায় হাঁটু গেড়ে বসে এক মাঝবয়সি ব্যক্তি। আশপাশে ঘিরে থাকা উত্তেজিত জনতা তাঁকে কখনও মারছে, কখনও প্রশ্ন করছে, “তুই কি বাংলাদেশি? তোর নাম এনআরসিতে আছে না নেই?” কোনও জবাবেই সন্তুষ্ট নয় ‘নীতি পুলিশের’ দল।
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ঘটনার সময় পুলিশও সেখানে ছিল। কিন্তু দর্শকের ভূমিকায়। গত বছর অসমের বিশ্বনাথ জেলার ঘটনা। মানবাধিকার ভঙ্গের এমন অভিযোগ নিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে শো-কজ় করলেও তার জবাব দেওয়ার প্রয়োজনই মনে করেননি তাঁরা। ক্ষুব্ধ কমিশন অসম সরকারের তীব্র সমালোচনা করে, অত্যাচারিত ব্যক্তিকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৯ সালের ৭ এপ্রিল। বিশ্বনাথের মধুপুর সাপ্তাহিক বাজারে গোমাংস বিক্রি করছিলেন ৪৮ বছরের শৌকত আলি। তিন দশকের ব্যবসা। কখনও সমস্যা হয়নি। সে’দিন হঠাৎই এক স্থানীয় বিজেপি নেতার নেতৃত্বে এক দল যুবক তাঁকে দোকান থেকে টেনে বার করে আনে বলে অভিযোগ। শুরু হয় গালাগালি, মারধর। শৌকতের ভাই অভিযোগ করেন, গোমাংস বিক্রির অনুমতি দেওয়ায় ওই বাজারের ঠিকাদারকেও থাপ্পড় মারেন বিজেপি নেতা। গোমাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করার কেন্দ্রীয় প্রস্তাবে তখন উত্তপ্ত ছিল রাজ্যের পরিস্থিতি। অসমে অবশ্য গোমাংস বিক্রি বৈধ। নিয়ম হল, স্থানীয় পশুপালন দফতর ও প্রশাসনের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় অনুমতি নিতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy