ছবি: শাটার স্টক।
মে মাসে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছিলেন বাদুড় থেকে নিপা ভাইরাস ছড়ানোর নির্দিষ্ট কোনও প্রমাণ মেলেনি। কিন্তু ইন্ডিয়ান জার্নাল অব মেডিক্যাল রিসার্চে সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদন দাবি করল, পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার ও অসমের ধুবুরি জেলার বাদুড়ে নিপা ভাইরাসের উপস্থিতি দেখা গিয়েছে। আগে এই এলাকায় নিপার উপস্থিতি দেখা যায়নি। তাই বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আইসিএমআরের বিজ্ঞানীরা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী পুণের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি উত্তরবঙ্গ ও ধুবুরি থেকে ফল খাওয়া বাদুড়ের ১০৭টি নমুনা সংগ্রহ করেছিল ২০১৫ সালে। কোচবিহারে ৩৯টি নমুনার মধ্যে ৬টি ও ধুবুরিতে সংগ্রহ করা ৬০টি নমুনার মধ্যে ৩টি বাদুড়ের নমুনায় মিলেছে নিপার অস্তিত্ব। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ধুবুরি ও কোচবিহারে জনবসতি অঞ্চলে প্রচুর বাদুড় আছে। তাদের মধ্যে নিপা পজিটিভ বাদুড় থাকায় সেখানে মানুষের মধ্যে সংক্রমণের সম্ভাবনা অত্যন্ত বেশি। জলপাইগুড়ি থেকে সংগৃহীত ৮টি নমুনায় অবশ্য নিপা মেলেনি।
অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে সরকারি ভাবে রাজ্য সরকারকে কিছু জানানো হয়নি। আমরা এখনও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির কাছ থেকে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন পাইনি।’’ কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায়ের বক্তব্য, এই রকম কোন নমুনা সংগ্রহের কথা তাঁদের জানা নেই। ২০১২-তে উত্তরবঙ্গের কিছু অঞ্চলে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তখন সম্ভবত নিপার চিহ্ন মিলেছিল। ২০০১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশ মোট বেশ কয়েক জন নিপা আক্রান্তের কথা জানা গিয়েছিল। ৮০ শতাংশেরই মৃত্যু হয়। ২০০১ ও ২০০৭ সালে পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি ও নদীয়ায় নিপা সংক্রমণে ৪৭ জনের প্রাণ গিয়েছিল। এ বছর কেরলের কোঝিকোড়ে ও মালাপ্পুরমে নিপার আক্রমণে ১৭ জনের প্রাণ গিয়েছে। কেরলে সংগ্রহ করা বাদুড়ের নমুনায় অবশ্য নিপা মেলেনি। তাই বাদুড় থেকেই যে নিপা ছড়াচ্ছে- সেই যুক্তি নস্যাৎ করেছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এখনও নিপার কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধ বার হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy