প্রতীকী ছবি।
নির্ভয়ার ধর্ষক ও খুনিদের তরফে দু’জন সুপ্রিম কোর্টে তাদের শাস্তি মকুবের আর্জি জানাতে গিয়ে বলল, ‘‘ফাঁসি বা মৃত্যুদণ্ড হল বিচারের নামে ঠান্ডা মাথায় খুন।’’ আর তাদের কৌঁসুলি এ পি সিংহ শীর্ষ আদালতে তাঁর সওয়ালে বললেন, ‘‘ওরা (নির্ভয়ার ধর্ষক ও খুনিরা) কেউই স্বভাবগত অপরাধী নয়। ওদের নামে আর কোনও ক্রিমিনাল রেকর্ড নেই। ধরা পড়ার সময় ওদের বয়সও ছিল খুবই অল্প। তাই ওদের শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত আদালতের।’’
নির্ভয়ার ধর্ষকদের মৃত্যুদণ্ড মকুবের আর্জি নিয়ে শুক্রবার অবশ্য কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি সুপ্রিম কোর্ট। এ দিন শুধু দুই ধর্ষক বিনয় কুমার ও পবন কুমারের বক্তব্য শোনে আদালত।
তাদের তরফে কৌঁসুলি এ পি সিংহ বলেন, ‘‘বহু দেশেই মৃত্যুদণ্ড তুলে দেওয়া হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড অপরাধীকে মেরে ফেলে ঠিকই, কিন্তু অপরাধকে নির্মূল করতে পারে না। যখন ওদের (যে দুই ধর্ষক এ দিন আদালতে হাজির হয়েছিলেন) ধরা হয়েছিল, তখন ওরা ছিল অল্পবয়সী।’’
তাঁকে থামিয়ে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, ‘‘কিন্তু মৃত্যুদণ্ডই তো দেওয়া হয়েছে। আর এখনও পর্যন্ত সেটা বহাল রয়েছে।’’
এ দিন আদালতে হাজির হওয়া দুই ধর্ষক বলে, মৃত্যুকালীন জবানবন্দিতেও নির্ভয়া কোনও অভিযুক্তের নামধাম বলে যাননি। অনেক পরস্পরবিরোধী মন্তব্যও ছিল সেই জবানবন্দিতে।
ধর্ষকদের সেই যুক্তি খারিজ করে দিয়ে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর সিদ্ধার্থ লুথরা বলেন, ‘‘সব কিছু খতিয়ে দেখেই ২০১৭-র মে মাসে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল শীর্ষ আদালত।’’
২০১২-র ১৬ ডিসেম্বর নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ৬ জনকে। তাদের মধ্যে এক জন নাবালক হওয়ায় তাকে জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে সে ছাড়াও পেয়ে যায়। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় বাকি ৫ জনকে। তার মধ্যে রাম সিংহ নামে এক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত (যে বাসচালক ছিল) জেলের সেলেই আত্মঘাতী হয়। বাকি ৪ জনের মধ্যে এ দিন ২ জনকে সুপ্রিম কোর্টে ডাকা হয়েছিল তাদের বক্তব্য শোনার জন্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy