নির্ভয়া কাণ্ডে ফাঁসির সাজা বহাল রাখল আদালত। গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।
নির্ভয়া কাণ্ডে চার আসামির মৃত্যুদণ্ডের আদেশে সুপ্রিম কোর্ট চূড়ান্ত সিলমোহর লাগিয়েছে। কিন্তু কেবল মৃত্যুদণ্ড বা কড়া আইনই এই ধরনের ঘটনা বন্ধের ক্ষেত্রে যথেষ্ট নয় বলে মনে করেন আইনজীবীরা।
যৌন হেনস্থার মামলা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে লড়াই করছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অলক অলখ শ্রীবাস্তব। তাঁর মতে, বিচারের ক্ষেত্রে গতি আনা প্রয়োজন। তা না হলে যত কড়া শাস্তিই হোক, সমাজে তার প্রভাব কমে যায়।
কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী কল্লোল মণ্ডলের মতে, নির্ভয়া মামলার পরে যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত আইনে বড়সড় পরিবর্তন এসেছে ঠিকই। কিন্তু সমাজে প্রকৃত শিক্ষার প্রসার না ঘটলে এই ধরনের অপরাধ কমার সম্ভাবনা কম। কল্লোলবাবুর মতে, আইন সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বা়ড়ানো প্রয়োজন। তিনি জানাচ্ছেন, কড়া আইনের অপব্যবহারের প্রবণতাও বেড়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই পুলিশও যথাযথ তদন্ত করে না। ফলে বিচারের ক্ষেত্রে তা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।
নির্ভয়া মামলায় আসামিদের হয়ে সওয়াল করেছেন আইনজীবী এ পি সিংহ। ঘটনার সময়ে দোষী সাব্যস্ত পবন গুপ্ত ‘নাবালক’ ছিল বলে আজ দাবি করেছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে পরে তিনি ফোনে বলেন, ‘‘পবন যে নাবালক ছিল, সে সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে আমার কাছে।’’ এ বার পরবর্তী পদক্ষেপ কী করবেন? আইনজীবী বলছেন, ‘‘আদালতে রিট আবেদন ফাইল করব। মোহনদাস কর্মচন্দ গাঁধীকে হত্যা করার পরেও সুপ্রিম কোর্টে রিট আবেদন দায়ের করেছিলেন নাথুরাম গডসে। বলেছিলেন, তিনি হত্যাকারী নন। তাই মনে করি, এক জন নির্দোষেরও শাস্তি হওয়া উচিত নয়।’’
আরও পড়ুন: নির্ভয়া রায় মৃত্যুদণ্ডই
নীতিগত ভাবে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থার ভারতীয় শাখার কর্তা অস্মিতা বসু বলেন, ‘‘মৃত্যুদণ্ড মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসা কমায় এমন প্রমাণ নেই। সরকারের উচিত এই ধরনের মামলা সঠিক ভাবে লড়া। তাতে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার হার বাড়বে। নির্যাতিতারা ন্যায়বিচার পাবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy