Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
Nirbhaya Rape Case

নির্ভয়া কাণ্ডে রায় স্থগিত

নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসি অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দিল দিল্লির পাটিয়ালা কোর্ট।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:১৪
Share: Save:

নির্ভয়াকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় দণ্ডিত চার জনের ফাঁসি নিয়ে রায়দান স্থগিত রাখল দিল্লি হাইকোর্ট। রবিবার সব পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পরে এই নির্দেশ দিলেন হাইকোর্টের বিচারপতি সুরেশ কাইত।

১ ফেব্রুয়ারি ভোর ছ’টায় নির্ভয়ার চার ধর্ষক-খুনি মুকেশ কুমার, বিনয় শর্মা, পবন গুপ্ত এবং অক্ষয় সিংহের ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তাদের ফাঁসি অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত করে দিয়েছে দিল্লির পাটিয়ালা কোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় কেন্দ্র। এ দিন এই মামলার শুনানিতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা হায়দরাবাদে পুলিশের গুলিতে অভিযুক্ত ধর্ষকদের হত্যাকাণ্ডের উল্লেখ করে বলেন, ‘‘এক দিকে বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা, অন্য দিকে ডিসেম্বরে হায়দরাবাদের ঘটনা... বিচার ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা টলে যাবে।’’ তাঁর কথায়, ‘‘চার দুষ্কৃতী ইচ্ছাকৃত ভাবে এবং খুব চিন্তাভাবনা করে আইনের অপব্যবহার করছে। বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে তারা খেলা করছে এবং এই ভাবে তারা দেশের ধৈর্যের পরীক্ষা নিচ্ছে।’’ মেহতা আরও জানান, পবন গুপ্ত এখনও কিউরেটিভ পিটিশন দাখিল করেনি বা রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে ক্ষমাভিক্ষার আবেদন জানায়নি। হিসেব কষেই পবন এই পদক্ষেপ করছে।

কালই অন্যতম দণ্ডিত বিনয় শর্মার ক্ষমাভিক্ষার আবেদন খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। অর্থাৎ, অন্য আর এক দণ্ডিত মুকেশ সিংহের মতো তার সামনেও প্রাণ বাঁচানোর জন্য আর কোনও আইনি পথ খোলা রইল না। আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্তের পরে ফাঁসির আগে আরও ১৪ দিন সময় দিতে হবে দণ্ডিতকে। ফলে দু’সপ্তাহের আগে ফাঁসি হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তিহাড় জেল সূত্রের খবর, গত কালই রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছে আর এক অপরাধী অক্ষয় ঠাকুর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Nirbhaya Rape Case Delhi High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE