Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

রাফাল আর কত দূর, ফ্রান্সের কারখানায় খোঁজ নির্মলার

পুরো বারো মাসও নেই। আগামী সেপ্টেম্বরে প্রথম দফায় কয়েকটি রাফাল যুদ্ধবিমান হাতে পাওয়ার কথা ভারতের।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন।

সংবাদ সংস্থা
প্যারিস শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৮ ০৩:৩৯
Share: Save:

পুরো বারো মাসও নেই। আগামী সেপ্টেম্বরে প্রথম দফায় কয়েকটি রাফাল যুদ্ধবিমান হাতে পাওয়ার কথা ভারতের। কেমন এগোচ্ছে কাজ, সেই খোঁজ নিতে আজ দাসো অ্যাভিয়েশনের রাফাল তৈরির কারখানা ঘুরে দেখলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কারখানাটি প্যারিসের অদূরে আর্জন্তেই-এ। সেখানে দাসো-কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

তিন দিনের সফরে কাল ফ্রান্সে এসেছেন নির্মলা। বৈঠক করেছেন এ দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফ্লোরেন্স পার্লির সঙ্গে। কথা হয়েছে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বাড়ানো নিয়ে। বৈঠকে কি রাফাল প্রসঙ্গ উঠেছিল? সরকারি ভাবে তা জানানো হয়নি। তবে সফরের শুরু থেকে রাফাল বিতর্ক তাড়া করে যাচ্ছে নির্মলাকে। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, অনিল অম্বানীর রিলায়্যান্স অ্যাভিয়েশনের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধা ছাড়া পথ ছিল না দাসোর কাছে। পরে অবশ্য নির্মলা তথা মোদী সরকারকে খানিকটা স্বস্তির বার্তা দিয়েছে দাসো কর্তার বিবৃতি। ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যমের খবর উড়িয়ে দাসোর দাবি, ভারতীয় আইনের শর্ত মেনে সে দেশের সংস্থাকে লগ্নিকারী হিসেবে অংশীদার করতে হয়েছে। তবে তারা স্বাধীন ভাবেই রিলায়্যান্সকে বেছেছে। এবং সেই সূত্রে নাগপুরে একটি প্ল্যান্ট তৈরি হয়েছে। সেটা মোট বরাতের ১০ শতাংশ দায় পূরণ করবে। ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমান তৈরি করে ভারতকে বিক্রি করার জন্য দাসো যে শুধু এই একটি মাত্র ভারতীয় সংস্থার সঙ্গেই গাঁটছড়া বাঁধছে, তা নয়। দাসোর সিইও এরিক ত্রাপিয়েরের কথায়, ‘‘বিদেশি লগ্নির মাত্র ১০% আসছে রিলায়্যান্স থেকে। আমরা প্রায় ১০০টি সংস্থার সঙ্গে কথা বলছি। তার মধ্যে ৩০টি সংস্থার সঙ্গে অংশীদারির বিষয়টি চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে।’’

রাফালের কাজ কেমন এগোচ্ছে? দাসোর সিইও এরিক বলছেন, ‘‘খুব দ্রুত।’’ তিনি জানিয়েছেন, সরকারি ভাবে প্রকল্প শুরু হয়েছে গত বছর ২৭ অক্টোবর। প্রথম কাজ ছিল যন্ত্রপাতি রাখার অস্থায়ী হ্যাঙার তৈরি করা ও কর্মীদের প্রশিক্ষিত করে তোলা। মার্চেই সে কাজ শেষ হয়েছে। নিয়োগ করা হয়েছে এক জন ভারতীয় সিইও (এস টি সম্পতকুমারম), দক্ষ ও অভিজ্ঞ বেশ কিছু ভারতীয় কর্মী ও ম্যানেজারও। দ্বিতীয় পর্ব পাকা বাড়ি তৈরি। ২০১৯-এর জুলাইয়ে তা শেষ হয়ে যাবে। বিমান সরবরাহ শুরু করার কথা তার দু’মাসের মধ্যে। সময় মতো হবে তো সব— বিতর্কের চাপ সামলে সেই খোঁজই নিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE