মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি নিজে বহু বছর আগেই মূত্রসঞ্চয় শুরু করে দিয়েছেন। —ফাইল চিত্র।
গোমূত্র থেকে ক্যানসারের ওষুধ এমনকি হেল্থ ড্রিঙ্ক তৈরির নিদান আগেও দিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এ বার মনুষ্যমূত্রের গুণকীর্তন নিতিন গডকড়ীর মুখে। কেন্দ্রীয় পরিবহণমন্ত্রীর আর্জি, দেশবাসীর মূত্র সঞ্চয় করুন। তা থেকেই তৈরি হবে ইউরিয়া। ভারতকে আর বিদেশ থেকে জৈবসার আমদানি করতে হবে না!
রবিবার নাগপুর পুরসভার এক অনুষ্ঠানে হাজির তরুণ গবেষকদের নতুন নতুন আবিষ্কারের গুরুত্ব বোঝাচ্ছিলেন মন্ত্রী। বলছিলেন, বর্জ্য থেকে জৈব জ্বালানি তৈরির কথা। সেই প্রসঙ্গেই জানান, মানুষের মূত্র থেকে অ্যামোনিয়াম সালফেট ও নাইট্রোজেন তৈরি হতে পারে। নিতিনের নিদান, ‘‘আমরা যদি গোটা দেশের মানুষের মূত্র সংরক্ষণ করতে পারি তা হলে আর বাইরে থেকে ইউরিয়া আমদানি করার প্রয়োজন থাকে না। সারও তৈরি হল, আবার কোনও কিছু নষ্টও হল না। আমি তাই বিমানবন্দরগুলিতে মূত্র সংরক্ষণের কথা বলেছি।’’ গডকড়ীর অনুযোগ, তিনি বরাবরই এমন অভিনব প্রস্তাব দেন অথচ কেউ সেগুলির কদর করেন না। তাঁর বক্তব্য, ‘‘আমার প্রস্তাবে কেউ সায় দেন না ঠিকই, কিন্তু আমার সব প্রস্তাবই দুর্দান্ত।’’
কৃষিপ্রধান এই দেশে চাষের কাজে ইউরিয়ার চাহিদা বিপুল। যা মেটাতে বিদেশ থেকে ইউরিয়া আমদানি করতে হয় ভারতকে। যে কারণে বছর দুয়েক আগেও এক সাক্ষাৎকারে মূত্রব্যাঙ্ক তৈরির কথা বলেছিলেন নিতিন। কিন্তু মূত্র জমানো হবে কী ভাবে? সে উপায়ও বাতলেছিলেন তিনি। কৃষকদের বলেছিলেন, ১০ লিটারের প্লাস্টিকের প্যাকেটে মূত্র নিয়ে গিয়ে স্থানীয় তহসিল অফিসে জমা দিতে। মূত্র জমানোর পাত্রও দেবে সরকার। লিটার প্রতি কৃষকেরা পাবেন এক টাকা। যদিও মূত্রব্যাঙ্ক তৈরির এই ভাবনা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি সরকারি স্তরে। গত কাল ফের সেই প্রসঙ্গই উঠল নিতিনের কথায়।+
আরও পড়ুন: মোদীর জীবনী নিয়ে সিনেমায় কামরা পুড়িয়ে ‘গোধরা’ শুটিং?
মন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি নিজে বহু বছর আগেই মূত্রসঞ্চয় শুরু করে দিয়েছেন। নিজের মূত্র জমিয়ে রাখেন। তার পরে দিল্লির বাংলোর বাগানে সার হিসেবে ব্যবহার করেন সেই মূত্র। এর ফলে তাঁর বাগানে ফলন ২৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। শুধু মূত্র না, কেটে ফেলা চুল থেকে অ্যামাইনো অ্যাসিড তৈরির কথাও বলেছেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন ‘বিকোল’ দু’হাজারে
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy