Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
এনডিএ-তে সামিলের সিদ্ধান্ত

সীমা লঙ্ঘন না করতে শরদকে বার্তা নীতীশের

এক জন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। যিনি আজ জেডিইউ জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে কেন্দ্রের এনডিএ জোটে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিলেন। অন্য জন সেই দলেরই সদ্য-গদিচ্যূত রাজ্যসভা নেতা শরদ যাদব।

নিজস্ব সংবাদদাতা
পটনা শেষ আপডেট: ২০ অগস্ট ২০১৭ ০৪:২৭
Share: Save:

শাসক দলের দুই নেতার পৃথক বৈঠক ঘিরে উত্তাপ ছড়াল পটনায়। গোটা বিহারে।

এক জন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। যিনি আজ জেডিইউ জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠক ডেকে কেন্দ্রের এনডিএ জোটে সামিল হওয়ার সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিলেন। অন্য জন সেই দলেরই সদ্য-গদিচ্যূত রাজ্যসভা নেতা শরদ যাদব। লালুপ্রসাদ-কংগ্রেসের সঙ্গে মহাজোট ভাঙার জন্য তিনি ‘জন আদালত’ বসিয়ে বিঁধলেন নীতীশকে। পাশাপাশি এ দিন নীতীশ-শিবির স্পষ্ট ইঙ্গিত দিল, ২৭ অগস্ট লালুপ্রসাদের বিরোধী সম্মেলনে গেলে শরদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে।

পোস্টারে পোস্টারে ঢেকে থাকা পটনা সরগরম ছিল দুই কর্মসূচি ঘিরে। পোস্টার-যুদ্ধে শরদের পক্ষে লেখা ছিল— ‘জন আদালত কা ফয়সলা, মহাগঠবন্ধন জারি হ্যায়।’ মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে টাঙানো পোস্টারে দেখা যায়— ‘নীতীশ কুমার হি জিন্দাবাদ’।

আরও পড়ুন: চলতি মাসেই কি মন্ত্রী বদল!

২০১৩ সালের জুন মাস। বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নরেন্দ্র মোদীর নাম ঘোষণা করতেই এনডিএ জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন নীতীশ। এ দিন ‘পুরনো বন্ধু’ হয়ে তিনি ফিরলেন মোদীর ঘরেই। দলীয় সূত্রে খবর, কয়েক দিনের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাবেন জেডিইউয়ের দুই নেতা। বৈঠকে নাম না করে শরদকে নিশানা করেন নীতীশ। তিনি বলেন, ‘‘২০১৩ সালে এনডিএ ছাড়ার সময় উনিই দলের সভাপতি ছিলেন। তখন কেন আপত্তি করেননি?’’

পটনার শ্রীকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হলে ‘জন আদালত’ বসিয়েছিলেন শরদ। মহাজোট ভেঙে এনডিএ-র হাত ধরায় নীতীশের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। শরদ বলেন, ‘‘মহাজোট পাঁচ বছর চলবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। ঘোষণাপত্রে বিশ্বাস রেখে জনতা আমাদের হাতে অমূল্য দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন।’’ শরদ-ঘনিষ্ঠ নেতা অরুণ শ্রীবাস্তব দাবি করেন, তাঁরাই আসল জেডিইউ। দলীয় প্রতীক চেয়ে দ্রুত নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জি জানাবেন।

এ দিন জেডিইউ কর্মসমিতির বৈঠকের পরে দলীয় নেতা কে সি ত্যাগী জানান, এনডিএ-র সঙ্গে জোট নিয়ে শরদের আপত্তি থাকতেই পারে। তা নিয়ে তিনি দলের অন্দরে কথা বলতে পারেন। কিন্তু ২৭ অগস্ট লালুপ্রসাদের বিরোধী সম্মেলনে হাজির হলে তিনি নিজের সীমা লঙ্ঘন করবেন। ত্যাগীর কথায়, ‘‘লালুপ্রসাদের সমাবেশে গেলে ওঁর উপর আমাদের বিশ্বাস ভেঙে যাবে।’’ জেডিইউয়ের নেতার কথায়, ‘‘তিন দিন ধরে লালুপ্রসাদের পাশে দাঁড়িয়ে উনি নীতীশের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলেন। আমরা অনেক চেষ্টা করেছি। উনি কিছু শোনেননি।’’ তবে দুই নেতার মনোমালিন্যের জেরে দলে চিড় ধরার কথা উড়িয়ে দেন ত্যাগী।

এ দিন বিমানবন্দর থেকে শরদকে অভ্যর্থনা করে শহরে নিয়ে আসছিল মোটরসাইকেল মিছিল। ১ নম্বর অ্যানে মার্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে থমকে যান মিছিলের কয়েক জন। অভিযোগ, লাঠি নিয়ে ওই বাড়িতে ঢোকার চেষ্টা করা হয়। ভিড় জমান লালুপ্রসাদের অনুগামীরাও। খবর পেয়ে নীতীশের সমর্থকরা চলে আসেন। বড় ঝামেলা শুরুর আগেই পুলিশ পৌঁছয়। পটনার এসএসপি মনু মহারাজ জানান, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE