ছবি: পিটিআই।
আন্তর্জাতিক অর্থ ভাণ্ডারের (আইএমএফ) পূর্বাভাসে মাথাপিছু জিডিপি-র নিরিখে বাংলাদেশের পিছনে চলে যাওয়ার সম্ভাবনায় বিঁধেছেন বিরোধীরা। অর্থনীতির সঙ্কোচনের হার পাকিস্তানের থেকে বেশি হওয়ায় কটাক্ষ হজম করতে হচ্ছে কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার প্রধানমন্ত্রীর অনুযোগ, অর্থনীতির দীর্ঘ মেয়াদি লাভের লক্ষ্যে করা অনেক সাহসী সংস্কার নজর এড়িয়ে যায় আন্তর্জাতিক দুনিয়ার। চোখ পড়ে না দরিদ্রদের জন্য কল্যাণকামী পদক্ষেপেও।
রাষ্ট্রপুঞ্জের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, করোনার কঠিন সময়ে দরিদ্র ও নিম্নবিত্তদের পাশে দাঁড়াতে গত ৭-৮ মাস ধরে নিখরচায় চাল-গম-ডাল দেওয়া হচ্ছে প্রায় ৮০ কোটি মানুষকে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং আমেরিকার সম্মিলিত জনসংখ্যার থেকেও বেশি সংখ্যক মানুষের হেঁশেল চালাতে বরাদ্দ করা হয়েছে ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা। তাঁর মতে, শুধু নিত্যনৈমিত্তিক দিকে চোখ রাখতে গিয়ে অনেক সময় একটি নতুন বড় ধারা নজর এড়িয়ে যায়। গত কয়েক বছরে ভারতে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিপুল কার্যক্রমের ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।
আইএমএফের পূর্বাভাসের অংশ তুলে ধরে এ দিন কংগ্রেস নেতা রাহুল গাঁধীর টুইট, ‘মোদী সরকারের আর একটি দুর্দান্ত সাফল্য। ভারতের থেকে কোভিড ভাল সামলেছে এমনকি পাকিস্তান, আফগানিস্তানও।’ সঙ্গে তাঁর দেওয়া সারণিতে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরে যেখানে ভারতের জিডিপি ১০.৩% কমে যাওয়ার সম্ভাবনা, সেখানে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের তা যথাক্রমে ০.৪% এবং ৫%।
বিরোধীদের বক্তব্য, আইএমএফের পূর্বাভাসে অর্থনীতির মুখ থুবড়ে পড়ার ছবি স্পষ্ট। কিছু দিন আগে ‘সমাজে বিভাজন তৈরি’-র দায়ে তাঁকে কাঠগড়ায় তুলেছে একটি নামী মার্কিন সংবাদমাধ্যম। আর্থিক নীতি থেকে ধর্ম নিরপেক্ষতা— বিভিন্ন বিষয়ে পশ্চিমী দুনিয়ার বিশেষজ্ঞদের সন্দেহের আতসকাচের নীচে দাঁড়াতে হয়েছে মোদী সরকারকে। সেই কারণেই এই নজর এড়ানোর অভিযোগ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে— কোভিডের সময়ে কাজ হারানো কর্মী কিংবা দরিদ্রদের হাতে নগদ দেওয়া থেকে শুরু করে যে হরেক পরামর্শ বিশেষজ্ঞেরা দিয়েছেন, মোদী নিজে তা কানে তুলেছেন কি?
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy