Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
National News

আয়কর একই, হাতে পেনসিল মধ্যবিত্তের

এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-এর আওতায় নতুন আসা কর্মীদের ক্ষেত্রে সরকারি জমার পরিমাণ আগের চেয়ে বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। ৩ বছরের জন্য। ইপিএফে সরকার এ বার জমা দেবে কর্মীদের বেতনের ১২ শতাংশ। এটা সব ধরনের কর্মক্ষেত্রের জন্যই প্রযোজ্য।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৫:১৬
Share: Save:

চাকরিজীবীদের জন্য কিছুটা সুখবর রয়েছে এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাবে।

তাঁদের বাড়তি আয়কর অন্তত দিতে হবে না। তবে যেমন ভাবা হয়েছিল, ভোটের বছর বলে চাকরিজীবীদের ব্যক্তিগত আয়করে ছাড় মিলবে কিছুটা। তা হয়নি। আয়করের স্তরে কোনও রদবদল ঘটানো হয়নি। বেতন অনুযায়ী যাঁকে যতটা আয়কর দিতে হচ্ছিল, মোটামুটি ততটাই দিতে হবে।

তবে ভ্রমণ ও চিকিৎসার খরচের বিল জমা দিয়ে চাকরিজীবীরা যে টাকা পান, তার জন্য স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন হিসাবে তাঁদের মোট বাৎসরিক আয় থেকে ৪০ হাজার টাকা কেটে নেওয়া হবে। ফলে, সেটাও করের আওতায় পড়বে না।

চাকরিজীবীদের জন্য দ্বিতীয় সুখবর, এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড (ইপিএফ)-এর আওতায় নতুন আসা কর্মীদের ক্ষেত্রে সরকারি জমার পরিমাণ আগের চেয়ে বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। ৩ বছরের জন্য। ইপিএফে সরকার এ বার জমা দেবে কর্মীদের বেতনের ১২ শতাংশ। এটা সব ধরনের কর্মক্ষেত্রের জন্যই প্রযোজ্য।

বাজেটে বাড়তি সুখবর রয়েছে মহিলা চাকরিজীবীদের জন্য। মহিলা চাকরিজীবীদের এখন তাঁদের বেতনের ১২ শতাংশ জমা দিতে হয় ইপিএফে। এ বার সেটা কমিয়ে ৮ শতাংশ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

অবসরের পর ফিক্সড ডিপোজিটে সারা জীবনের সঞ্চয় জমা রেখে, তার সুদের ভরসায় যাঁদের বাকি জীবনটা কাটাতে হয়, সেই প্রবীণ নাগরিকরাও কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারেন এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেট প্রস্তাবে চোখ বুলিয়ে।

কিন্তু সুদ বাবদ ‘লাভ’-এর পরিমাণ বাড়লেই এত দিন উদ্বেগে দিন কাটাতে হত তাঁদের। কারণ, সুদ বাবদ ১০ হাজার টাকার বেশি আয় হলেই এখন তাঁদের আয়কর দিতে হচ্ছে। এ বার সেই ছাড়ের পরিমাণ ৫ গুণ বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় বাজেটে। ১০ হাজার টাকা থেকে বেড়ে সেই উর্দ্ধসীমা ধার্য হয়েছে ৫০ হাজার টাকায়। তার মানে, ফিক্সড ডিপোজিটে জমার উপর সুদ বাবদ বছরে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত পেলেও এ বারের কেন্দ্রীয় বাজেটে প্রবীণ নাগরিকদের আয়কর ছাড়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। সব রকমের ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমেই এটা প্রযোজ্য হবে।

আরও পড়ুন- ভোট-বাজেট: গ্রাম আর কৃষিতে দেদার বরাদ্দ​

তবে বিভিন্ন মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ডিভিডেন্ডে ১০ শতাংশ করের প্রস্তাব রয়েছে। এটা আগে ছিল না। ‘প্রধানমন্ত্রী ভয় বান্ধব প্রকল্প’-এ ১৫ এবং ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জমা রাখলে মোট জমার উপর অন্তত ৮ শতাংশ রিটার্ন সুনিশ্চিত করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। প্রবীণ নাগরিকদের ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত মেডিক্লেমকে করের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।

আরও কিছু ক্ষেত্রে দেওয়া হয়েছে করছাড় বা কর মকুবের প্রস্তাব। তার মধ্যে যেমন রয়েছে কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলি (ফার্মার প্রোডিউসার কোম্পানি), তেমনই রয়েছে রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা। যার ফলে, ফ্ল্যাটের দাম কমার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।

আরও পড়ুন- বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্য বিমার ঘোষণা​

ছোট ও মাঝারি শিল্পগুলিকে চাঙ্গা করে তুলতেও সদর্থক ব্যবস্থার প্রস্তাব রয়েছে বাজেটে। তাদের আয়ের উপর ২৫ শতাংশ কর কমানোর কথা বলা হয়েছে। তবে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘সেস’-এর পরিমাণ ৪ শতাংশ বাড়তে পারে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE