প্রধানমন্ত্রী সমীপে তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। ছবি: টুইটার।
জাল্লিকাট্টু চালু রাখতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করুক কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে বৃহস্পতিবার এই দাবিই জানালেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী ও পনীরসেলভম (ওপিএস)। প্রধানমন্ত্রীর দফতর (পিএমও) সূত্রের খবর, তামিলনাড়ুর বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে মোদীর সঙ্গে বিশদে আলোচনা হয়েছে ওপিএস-এর। যত দিন বিষয়টি বিচারাধীন থাকছে, তত দিন কেন্দ্রের পক্ষে কোনও পদক্ষেপ করা সম্ভব নয়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তবে কেন্দ্র সব রকম ভাবে রাজ্য সরকারের পাশে থাকবে বলে মোদী ওপিএসকে আশ্বাস দিয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্ট জাল্লিকাট্টুকে গত সপ্তাহে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকে গোটা তামিলনাড়ু উত্তাল। আদালতের এই নির্দেশকে তামিল ঐতিহ্যের উপর আঘাত হিসেবে দেখছেন জাল্লিকাট্টুর সমর্থকরা। চেন্নাই-সহ তামিলনাড়ুর বিভিন্ন বড় শহরে জাল্লিকাট্টুর সমর্থনে অবস্থান চলছে। বিক্ষোভ সামাল দিতে তামলিনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছিলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে কথা বলে তিনি সমাধানসূত্র খুঁজে বার করার চেষ্টা করবেন। কথা মতো বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করলেন ওপিএস। আদালতের নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যাতে আপাতত জাল্লিকাট্টুকে বৈধ ঘোষণা করা যায়, তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অধ্যাদেশ আনুক, প্রধানমন্ত্রীকে এমনই অনুরোধ করেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী অধ্যাদেশের বিষয়ে কোনও আশার বাণী তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীকে শোনাননি। অধ্যাদেশ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, জাল্লিকাট্টুর বিষয়টি যে হেতু এখনও বিচারাধীন, সে হেতু কেন্দ্র এ বিষয়ে সরাসরি হস্তক্ষেপ করবে না। তবে তামিলনাড়ুর সরকার এ বিষয়ে যে পদক্ষেপই করুক, তার প্রতি কেন্দ্রের সমর্থন থাকবে বলে নরেন্দ্র মোদী ওপিএসকে জানিয়েছেন।
ওপিএস প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরনোর পর ফের নিজের রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করেছেন। তামিলনাড়ুর সরকার শীঘ্রই কোনও পদক্ষেপ নেবে বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘খুব শীঘ্রই পদক্ষেপ দেখতে পাবেন। অপেক্ষা করুন, ভালই হবে।’’
আরও পড়ুন: মন্দিরে ঢোকায় নিষেধাজ্ঞা, সারা গায়ে ‘রাম’ নামের ট্যাটু করান এই গ্রামের দলিতরা
জাল্লিকাট্টুর সমর্থনে যাঁরা বিক্ষোভ করছেন, তাঁদের প্রতি যে প্রধানমন্ত্রীর সহানুভূতি রয়েছে, সে কথা বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রীর দফতর সূত্রেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পিএমও-র টুইটার হ্যান্ডলে আজ লেখা হয়েছে যে ‘জাল্লিকাট্টুর সাংস্কৃতিক তাৎপর্য অনুধাবন করেও প্রধানমন্ত্রী এ কথা মাথায় রাখছেন যে বিষয়টি এখন বিচারাধীন।’ তামিলনাড়ুর সরকার যে পদক্ষেপ নেবে, তাকে কেন্দ্র যে সমর্থন করবে, সে কথাও পিএমও-র তরফে টুইটারে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy