মহব্বতেঁ ছবিতে কলেজ ক্যাম্পাসে ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালনের দৃশ্য। ছবি ওই সিনেমার ভিডিও থেকে নেওয়া।
ভ্যালেন্টাইন’স ডে পশ্চিমী সংস্কৃতির অনুকরণ। তাই এই দিন কোনও ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঘুরে বেড়ানো যাবে না। কাউকে ঘুরে বেড়াতে বা ভ্যালেন্টাইন’স ডে পালন করতে দেখলেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লিখিত নির্দেশিকা দিয়ে এমনটাই জানিয়ে দিল লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়।
ওই নির্দেশিকা জারির পরেই পড়ুয়াদের মধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের এ হেন আচরণ ‘ছোটি সোচ’ (নিচু ভাবনা)-এর পরিচয় বলে ধিক্কারও জানিয়েছেন তারা।
গত ১০ ফেব্রয়ারি এক পাতার একটি নির্দেশিকা জারি করেন লখনউ বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ প্রোক্টর বিনোদ সিংহ। তাতে লেখা ছিল, ‘কয়েক বছর ধরেই পড়ুয়ারা পশ্চিমী সংস্কৃতির দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে। ১৪ ফেব্রুয়ারি তারা ভ্যালেন্টাইন’স ডে উদ্যাপন করে। তবে, মহা শিবরাত্রি উপলক্ষে এ বার ওই দিন বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকবে। কোনও ক্লাস, পরীক্ষা যেমন ওই দিন নেওয়া হবে না, তেমনই পড়ুয়ারা যেন কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন না করে। এই দিন কোনও ভাবেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা যাবে না। অভিভাবকদেরও অনুরোধ করা হচ্ছে এই বিষয় খেয়াল রাখতে। যদি কোনও পড়ুয়াকে বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায় তা হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ প্রসঙ্গত এ বছর ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র দিনই পড়েছে মহা শিবরাত্রি।
স্বাভাবিক ভাবেই নির্দেশিকা জারির পরই তীব্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে পড়ুয়াদের মধ্যে। তারা জানায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই দিন ছুটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে নিষেধ করা উচিত নয়। যদি আমরা ক্যাম্পাসে না ঢুকি তা হলে কারা ঢুকবে?
এই প্রথম নয়। গত বছরও ভ্যালেন্টাইন’স ডে-র দিন পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসে ফুল ও উপহার নিয়ে ঢোকার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল লখনউ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ২০১৪ সালেও প্রেম দিবসে পড়ুয়াদের জন্য ছিল একগুচ্ছ নিয়ম ও নিষেধাজ্ঞা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy