ছেলেটি বাড়ি থেকে ওই রাতে বেরিয়ে যাওয়ার ছবি সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে। ছবি: সংগৃহীত।
পড়াশোনা করত না ছেলে। সে জন্য মাঝেমধ্যেই মা বকাবকি করতেন তাকে। দু-চার ঘা দিতেনও।
এটা মেনে নিতে পারেনি বছর ষোলোর কিশোর। কী ভাবে এর প্রতিশোধ নেওয়া যায়, ছকেও ফেলেছিল সে!
গ্রেটার নয়ডার ঘটনা। ৪ নভেম্বর। রাত তখন ৮টা। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ছেলেটি মা-বোনকে নিয়ে বাড়িতে ঢোকে। ঠিক সাড়ে ১১টা নাগাদ বাড়ি থেকে একাই বেরিয়ে যেতে দেখা যায় তাকে।
আরও পড়ুন: রাজস্থান হত্যাকাণ্ড: ত্রিকোণ প্রেমের বলি হলেন আফরাজুল?
পর দিনই ঘর থেকে ছেলেটির মা-বোনের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই ছেলেটি নিখোঁজ ছিল। মা-বোনকে খুন করার অভিযোগে শুক্রবার রাতে বারাণসীর কাছে মুঘলসরাই থেকে সেই কিশোরকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
কী ভাবে খুনের ছক কষেছিল ওই কিশোর? জেনে পুলিশও চমকে ওঠে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই দিন রাতে মা-বোন ঘুমিয়ে পড়ার পর প্রথমে ব্যাট দিয়ে তাঁদের মাথায় পর পর আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত করতে এর পর কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে, পিজ্জা কাটার দিয়ে নৃশংস ভাবে খুন করে। এর পর পোশাক পরিবর্তন করে খুব ধীর-স্থির ভাবে মোবাইল নিয়ে নিঃসাড়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় সে।
আরও পড়ুন: ফের রাজধানীতে শ্লীলতাহানি, অভিযোগ নিতেই চাইল না পুলিশ!
পুলিশ আরও জানিয়েছে, বাড়ি থেকে বেরিয়েই গাড়ি ধরে নয়াদিল্লি রেলস্টেশনে পৌঁছয় সে। সেখান থেকে ট্রেন ধরে চণ্ডীগড়, তার পর সেখান থেকে হিমাচল প্রদেশের শিমলা গিয়েছিল। শুক্রবার উত্তরপ্রদেশের মুঘলসরাইয়ে আসে সে। সেখান থেকে বারাণসী যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল তার। কিন্তু তার আগেই পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায়।
বাবা ব্যবসায়ী। যখন ঘটনাটা ঘটে, তিনি তখন বাড়িতে ছিলেন না। দাদু-ঠাকুমাও ঘটনাচক্রে সে দিন কাজের সুবাদে বাড়ির বাইরে গিয়েছিলেন। সেই সুযোগটাই নেয় ওই কিশোর। মা-বোনকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে বাড়ি থেকে ২ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়।
ওই কিশোর ‘গ্যাংস্টার ইন হাইস্কুল’ নামে একটি গেমের প্রতি আসক্ত ছিল। তার মোবাইলে সেই গেমটাও পাওয়া যায়। এই গেম দেখেই খুনের ছক কষেছিল বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা পুলিশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy