দশম জলপ্রপাত। —ফাইল চিত্র।
টানা বর্ষাতে রাঁচীর হুড্র, জোনা, দশম— সব জলপ্রপাতগুলোই যেন একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার প্রতিয়োগিতায় নেমেছে। কিন্তু যে সব পর্যটক হুড্র ও জোনা ঘুরে এসেছেন তাঁদের অনেককেই বলতে শোনা যাচ্ছে, এ বার কিন্তু তিনটে জলপ্রপাতের মধ্যে দশমই হল ‘হিরো নম্বর ওয়ান’। এই বর্ষায় দশমকে টেক্কা দেওয়া কঠিন।
শুরু হয়ে গিয়েছে স্বাধীনতা দিবসের ছুটির মরশুম। সোমবার ছুটি নিলেই টানা তিনদিন ধরে ছুটি। তাই পর্যটকদের ভিড়ও প্রচুর। এমনিতেই দশম খুব দুর্ঘটনাপ্রবণ জলপ্রপাত। গত ২০ বছরে দশমের পাথরে বসে স্নান করতে গিয়ে অসাবধানতায় বেশ কয়েকজন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। এবার দশমের এই রুদ্রমূর্তিতে সচেতন জলপ্রপাতের কর্মীরা। তাঁরা বারবার পর্যটকদের জলপ্রপাতের বেশি কাছে যেতে নিষেধ করছেন। পর্যটকরাও দশমের রুদ্রমূর্তি দেখে বেশি সাহস দেখানোর চেষ্টা করছেন না।
কাঁচি নদীর এই জলপ্রপাতের দশটি ধারায় জল পড়ে বলে এর নাম দশম জলপ্রপাত। তবে এই বর্ষায় সব জলের ধারা মিলে মিশে একাকার। দশম গর্জনের সঙ্গে বিন্দু বিন্দু জল হাওয়ায় উড়িয়ে দিচ্ছে। ওই বিন্দু বিন্দু জল একসঙ্গে জমাট বেধে চলে যাচ্ছে অনেক দূর। তাই জলপ্রপাত থেকে অনেকটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকলেও হালকা ভিজিয়ে দিচ্ছে দশম। দশমের জলপ্রপাতে এ ভাবেই ভিজতে ভিজতে কোনও এক পর্যটক বলে ওঠেন, ‘‘একেই বলে বোধহয় ভয়ঙ্কর সুন্দর।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy