ফাইল চিত্র।
তিন জন সহকারী। যৌথ ইন্টেলিজেন্স কমিটি মিশে গিয়েছে জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ সচিবালয়ের সঙ্গে। সব মিলিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল যেন এক সমান্তরাল ক্ষমতার কেন্দ্র হয়ে উঠছেন বলে ধারণা দিল্লির রাজনীতিক ও আমলাদের একাংশের।
অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানায় ব্রজেশ মিশ্রকে প্রথম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিয়োগ করা হয়। কাশ্মীর-সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সামলানোর দায়িত্ব অনেকটাই তাঁর উপরে ছেড়ে দিয়েছিলেন বাজপেয়ী। ফলে বিদেশ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে কোনও কোনও ক্ষেত্রে মতবিরোধ হয়েছে তাঁর। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার হাতে অতিরিক্ত ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হওয়ার অভিযোগও উঠেছিল।
একই অভিযোগ ডোভালের বিরুদ্ধে। তিনি সব ক্ষেত্রেই আগ্রাসী মনোভাব নেওয়ায় পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আমলাদের একাংশের মতে, অমরনাথ যাত্রীদের উপরে হামলার পরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ প্রকারান্তরে জানিয়ে দিয়েছিলেন কাশ্মীর নীতি মূলত ডোভালই নিয়ন্ত্রণ করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে দায়িত্ব না দিলে সঙ্কটের সময়ে তার পরামর্শ চেয়ে লাভ নেই।
কিন্তু তাতে ডোভালের দায়িত্ব কমেনি। উল্টে বৃহস্পতিবার আর এন রবিকে ডোভালের তৃতীয় সহকারী হিসেবে নিয়োগ করেছে সরকার। এ নিয়ে উপ-জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা পদে নিযুক্ত হলেন তিন জন। রবি ছাড়া বাকি দু’জন হলেন র-এর প্রাক্তন প্রধান রাজেন্দ্র খন্না ও প্রাক্তন কূটনীতিক পঙ্কজ সরণ। রবি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা ব্যুরোর অন্যতম কর্তা হিসেবে নাগা জঙ্গিদের সঙ্গে আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। রবি যখন গোয়েন্দা ব্যুরোয় উত্তর-পূর্বের দায়িত্ব সামলাতেন তখন সংস্থার অধিকর্তা ছিলেন ডোভাল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy