Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
National News

ধর্ষণের পর খুনে দেশে মৃত্যুদণ্ড বেড়েছে ৫৫ শতাংশ

সেই রিপোর্ট জানিয়েছে, ২০১৬ সালে যেখানে ভারতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামির সংখ্যা ছিল ৩৯৯, সেখানে গত বছরের শেষে তা কমে হয়েছে ৩৭১। যার মানে, গত এক বছরে ভারতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্আসামির সংখ্যা কমেছে ২৮টি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ ১৯:০৪
Share: Save:

ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় ভারতের বিচারব্যবস্থা আরও কড়া হয়েছে গত এক বছরে। এমন ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে মৃত্যুদণ্ডই দেওয়া হচ্ছে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে। আর সুপ্রিম কোর্টে তা বহালও থেকেছে।

তবে মৃত্যুদণ্ড নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের চিন্তাভাবনা কিছুটা বদলানোরও ইঙ্গিত মিলেছে। মৃত্যুদণ্ড দেওয়া আর তা কার্যকরের ঘটনা ভারতে গত বছরে কমেছে।

যদিও ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় সর্বোচ্চ শাস্তি হিসাবে দেশে মৃত্যুদণ্ডাদেশের সংখ্যা আগের বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে। সেই বৃদ্ধির হার কম করে ৫৫ শতাংশ।

জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার অন ডেথ পেনাল্টি’র সাম্প্রতিক একটি রিপোর্ট এ কথা জানিয়েছে। যার শিরোনাম- ‘ডেথ পেনাল্টি ইন ইন্ডিয়া: অ্যানুয়াল স্ট্যাটিস্টিক্স রিপোর্ট’। হালে প্রকাশিত হয়েছে রিপোর্টের দ্বিতীয় সংস্করণ।

সেই রিপোর্ট জানিয়েছে, ২০১৬ সালে যেখানে ভারতে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামির সংখ্যা ছিল ৩৯৯, সেখানে গত বছরের শেষে তা কমে হয়েছে ৩৭১। যার মানে, গত এক বছরে ভারতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির সংখ্যা কমেছে ২৮টি।

শুধু তাই নয়, গত বছরে শীর্ষ আদালত ৭টি মৃত্যুদণ্ডাদেশ বহাল রেখেছে। তবে একটি ক্ষেত্রেও মৃত্যুদণ্ডাদেশ লঘু করেনি সুপ্রিম কোর্ট। ২০১৭-য় অবশ্য কোনও আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্তই নেয়নি শীর্ষ আদালত। ২০১৫ সালে কিন্তু ছবিটা ছিল একটু অন্য রকম। মৃত্যুদণ্ড লঘু করার ব্যাপারে ৯ জন আসামির আর্জির মধ্যে ৮টি খারিজ হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। বহাল রাখা হয়েছিল ৮টি মৃত্যুদণ্ডাদেশ। একটি ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এক আসামির আর্জি মেনে নিয়েছিল শীর্ষ আদালত। দণ্ড লঘু করা হয়েছিল।

২০১৫ সালে ভারতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ৭৫ জন আসামিকে। কার্যকর হয়েছিল একটি দণ্ডাদেশ। ওই বছর মৃত্যুদণ্ডে শীর্ষে ছিল চিন। দেওয়া হয়েছিল এক হাজারেরও বেশি মৃত্যুদণ্ড। ইরানে দেওয়া হয়েছিল অন্তত ৯৭৭টি (সরকারের দেখানো হিসাব নিয়ে সংশয় রয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের), পাকিস্তানে ৩২৬টি, সৌদি আরবে অন্তত ১৫৮টি। আমেরিকায় ২৮টি।

আরও পড়ুন- দীর্ঘতম বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা, তবু অধরা সমাধান​

আরও পড়ুন- পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে পর পর গুলি, দেখুন ভিডিও​

জাতীয় আইন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সেন্টার অন ডেথ পেনাল্টি’র হালের ওই রিপোর্ট বলছে, ‘‘ধর্ষণের পর খুনের ঘটনায় ২০১৬ সালে যেখানে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল ২৪ জনকে, সেখানে গত বছর ওই সব ঘটনার শাস্তি হিসাবে ৪৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার ঘটনা কমেছে দেশের হাইকোর্ট ও সেসন কোর্টগুলিতেও।

গত বছর দেশের হাইকোর্টগুলি মৃত্যুদণ্ডের ৯৯টি মামলায় ৫৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

মৃত্যুদণ্ডাদেশ কমার প্রবণতা লক্ষ্য করা গিয়েছে সেশন কোর্টগুলিতেও।

রিপোর্ট বলছে, সেই সংখ্যাটা ছিল ২০১৬ সালে ছিল ১৪৯। যেটা গত বছর কমে হয়েছে ১০৯। সেশন কোর্টগুলিতে মৃত্যুদণ্ডাদেশ আগের বছরের তুলনায় কমেছে ২৭ শতাংশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE