Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

মেয়েকে খুনে বেকসুর খালাস করেছে কোর্ট, শুনে কেঁদে ফেললেন নূপুর

রাজেশ ও নুপূর তলোয়ার প্রথম থেকেই আদালতে বলে আসছিলেন, খুনের রাতে তাঁদের ঘরে এত জোরে এসি চলছিল যে, কোনও শব্দই তাঁরা পাননি।

রাজেশ ও নুপূর তলোয়ার

রাজেশ ও নুপূর তলোয়ার

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০১৭ ০৩:০৬
Share: Save:

গোটা তদন্তেরই ভিত্তি ছিল পারিপার্শ্বিক তথ্যপ্রমাণ। আরুষি-হেমরাজ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত কখনও পুলিশের হাত থেকে গিয়েছে সিবিআইয়ের হাতে। কখনও আবার সিবিআইয়ের সম্পূর্ণ নতুন দলকে গোড়া থেকে তদন্ত করতে বলা হয়েছে। ঘটনার পরের দিন থেকে নানা কাটাছেঁড়া হয়েছে সংবাদমাধ্যমেও। আরুষি তলোয়ারের পরিবারের ঘনিষ্ঠদের কেউ কেউ তখন বলেছিলেন, সিবিআই এবং আদালতকে টপকে সংবাদমাধ্যমের একাংশই যেন রহস্যের সমাধান করে ফেলেছে বলে মনে হচ্ছে!

রাজেশ ও নুপূর তলোয়ার প্রথম থেকেই আদালতে বলে আসছিলেন, খুনের রাতে তাঁদের ঘরে এত জোরে এসি চলছিল যে, কোনও শব্দই তাঁরা পাননি। তাই মেয়ে যে খুন হয়ে গিয়েছে, বুঝতেই পারেননি তাঁরা।

আরও পড়ুন: আরুষি খুনে মুক্তি পেলেন তলোয়ার-দম্পতি

এ-ও বলেছিলেন, হত্যাকারী বাইরে থেকে এসেছিল বলেই তাঁরা নিশ্চিত। সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে সেই যুক্তি টেকেনি। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হওয়ার পরে ইলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরুষির বাবা-মা। গত সেপ্টেম্বরে মামলার রায়দান স্থগিত রেখেছিল হাইকোর্ট।

দাসনা জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, আজ সকালে জলখাবারের পর থেকে তলোয়ার দম্পতি শুধু প্রার্থনাই করে গিয়েছেন। রায় শুনে কেঁদে ফেলেন নূপুর। পরে তলোয়ার দম্পতি বলেছেন, ‘‘এত দিনে সুবিচার হল।’’ স্বস্তির ছবি পরিবারেও। নূপুরের বাবা প্রাক্তন বায়ুসেনা অফিসার বি জি চিটনিস সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। ওরা (রাজেশ-নূপুর) সত্যিই খুব কষ্ট পেয়েছে। মানসিক ভাবে ওরা বিধ্বস্ত। এই বয়সে নিজের মেয়েকে জেলের ভিতরে দেখাটা আমার পক্ষেও খুবই কষ্টের ছিল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE