প্রসব করানোর সময় নার্সের হাতে ছিঁড়ে এল শিশুর মাথা! মারা গেলেন মা-ও।
এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে অসমের চিরাংয়ের হাসপাতালে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, মাতৃজঠর থেকে বাচ্চাটিকে বের করতে গিয়ে অদক্ষ হাতে টানাটানি করছিলেন অভিযুক্ত নার্স। আচমকা শিশুটির ধড়-মুণ্ড আলাদা হয়ে যায়। মাথা ছিঁড়ে চলে আসে নার্সের হাতে। ক্ষত তৈরি হয় অন্য কয়েকটি অঙ্গেও। ওই নার্সকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, চিরাং জেলার শান্তিপুরের আইপোয়ালি গ্রামের বাসিন্দা বাবুরাম রায়ের স্ত্রী পূর্ণিমাদেবীর (১৯) প্রসববেদনা ওঠায় তাঁকে শান্তিপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক ফুলবর আলি আহমেদ ইদের ছুটিতে ছিলেন। সেই সময় হাসপাতালে অন্য কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। কর্তব্যরত জিএনএম নার্স সবিতা মরাণ ২ হাজার টাকার বিনিময়ে প্রসব করানোর ভার নেন। বাবুরামের পরিজনদের অভিযোগ, প্রসবের সময়ে শিশুর মাথা ধরে টেনে বের করতে গিয়েছিলেন সবিতাদেবী। তখনই মাথাটি ধড় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে তাঁর হাতে চলে আসে। ধড় টেনে মাতৃগর্ভ থেকে বের করার সময় শিশুর দেহের অন্য কয়েকটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গও ছিঁড়ে যায়। পূর্ণিমাদেবীরও শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে।
ওই তরুণীর পরিজনদের অভিযোগ, বাবুরামবাবু স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে চাইলেও সবিতাদেবী তা করতে দেননি। তিনি জানান, স্যালাইন দিলেই পূর্ণিমাদেবী বেঁচে যাবেন। বিনা চিকিৎসায় পূর্ণিমাদেবীকে শুধু স্যালাইন দিয়ে শুইয়ে রাখা হয়। ৬ ঘণ্টা পরে তাঁর মৃত্যু হয়। খবর জানাজানি হওয়ার পরে গ্রামবাসীরা হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখান। ভাঙচুর হয়। খবর পেয়ে পৌঁছয় পুলিশ। অভিযুক্ত নার্সকে জনতার হাতে তুলে দেওয়ার দাবি ওঠে। সবিতাদেবী প্রাণ বাঁচাতে রোগীদের খাটের তলায় লুকিয়ে ছিলেন। পরে সিআরপি তাঁকে উদ্ধার করে সিদলি থানায় নিয়ে যায়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy