ভোটের আগে মুড়ি-মুড়কির মতো বদলি করা হচ্ছে অফিসারদের। তা নিয়ে অফিসার মহলে যেমন ক্ষোভ বাড়ছে, তেমনই প্রশ্ন তুলছে সঙ্ঘও।
মাসখানেক আগেই সচিব স্তরে বড় রদবদল করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর দু’দিন আগেই প্রায় ৪০ জন আমলার বদলির নির্দেশ এসেছে। স্মৃতি ইরানির তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকও তথ্য আধিকারিকদের দেদার বদলি করে দিচ্ছে। নিয়ম মেনে বদলি হচ্ছে না বলে আইআইএস গ্রুপ-এ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অনিন্দ্য সেনগুপ্ত প্রধানমন্ত্রীর সচিবকেও চিঠি লেখেন। এর পর তাঁকেও বদলি করে দেওয়া হয়।
অফিসারদের বদলি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আরএসএসের সংগঠনও। দু’দিন আগে বদলি হওয়া ৪০ আমলার মধ্যে ভূপেন্দ্র সিংহ নামে উত্তরপ্রদেশ ক্যাডারের ওই আইএএস অফিসারও ছিলেন। ওষুধের দাম নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের পদ থেকে তাঁকে বদলি করে পাঠানো হয়েছে ক্যাবিনেট সচিবালয়ে। সঙ্ঘ সমর্থিত সংগঠন ‘স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ’ প্রশ্ন তুলেছে, এত দিন ওই আমলার হাত ধরেই ওষুধ ও চিকিৎসার বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম কমেছে। কিন্তু বড় ‘লবি’র কাছে মাথায় নুইয়েই কী আমলার বদলি হল? বদলিতে ভূপেন্দ্রর নিজেরও যে ক্ষোভ রয়েছে, নানা টুইটে তা প্রকাশ পেয়েছে।
‘স্বদেশি জাগরণ মঞ্চ’-এর নেতা অশ্বিনী মহাজন বলেন, ‘‘গোটা বিষয়টি বিস্ময়কর। প্রধানমন্ত্রী ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রীর দাম কমানোর বড়াই করেন। অথচ যে অফিসার এই কাজ করলেন, তাঁকেই সরিয়ে দেওয়া হল?’’ সঙ্ঘের আশঙ্কা, বিভিন্ন সরঞ্জামের দাম কমে যাওয়ায় বড় শিল্পগোষ্ঠী ক্ষুব্ধ ছিল। হতে পারে অনেক অফিসার বদলের সময় বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজর এড়িয়ে গিয়েছে। বদলি হয়েছে আমলাদের একটি অংশের যোগসাজশেই।
বিষয়টিকে মোদীর নজরে আনতে আরএসএস সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী অনন্ত কুমারের সঙ্গেও কথা বলবে। সঙ্ঘের এক নেতার ব্যাখ্যা, মন্ত্রিসভার নিয়োগ কমিটিতে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মোদী জমানার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে সুপারিশ আসত, পরে তা অনুমোদন করত প্রধানমন্ত্রীর দফতর। কিন্তু এখন গোটা ব্যাপারটাই প্রধানমন্ত্রীর দফতরের হাতে। মোদী নিজেও ছোটোখাটো বিষয়ে নজরদারি করেন। ফলে বদলি নিয়ে কোনও অসন্তোষ বা অনিয়ম হলে তার দায় প্রধানমন্ত্রীর ঘাড়েই বর্তাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy