Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

হরিয়ানা ধর্ষণ কাণ্ডে জড়িত এক সেনাও

বুধবার দুপুরে কোচিং ক্লাস থেকে পড়ে ফেরার পথে মহেন্দ্রগড় জেলার কানিনা বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রামেরই এক তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় ওই তিন যুবক। সিবিএসই-র কৃতী ছাত্রীটিকে একটি পরিত্যক্ত চাষের জমিতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তারা

ফেরার তিন অভিযুক্ত মণীশ, নিশু এবং পঙ্কজ।

ফেরার তিন অভিযুক্ত মণীশ, নিশু এবং পঙ্কজ।

সংবাদ সংস্থা
চণ্ডীগড় শেষ আপডেট: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৫:৪৪
Share: Save:

তিন দিন কেটে গেল। হরিয়ানা ধর্ষণ-কাণ্ডে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারল না পুলিশ। উল্টে সাধারণ মানুষের সাহায্য চেয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, অভিযুক্তদের সন্ধান দিতে পারলে ১ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে তিন অভিযুক্ত— মণীশ, নিশু ও পঙ্কজের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে পঙ্কজ এক জন সেনা জওয়ান বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার দুপুরে কোচিং ক্লাস থেকে পড়ে ফেরার পথে মহেন্দ্রগড় জেলার কানিনা বাস স্ট্যান্ড থেকে গ্রামেরই এক তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় ওই তিন যুবক। সিবিএসই-র কৃতী ছাত্রীটিকে একটি পরিত্যক্ত চাষের জমিতে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে তারা। দু’দিন পরে শুক্রবার সংবাদমাধ্যমে ঘটনাটি জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসে পুলিশ। গত কাল তাদের বলতে শোনা গিয়েছিল, আজ রাতের মধ্যেই গ্রেফতার করা হবে অভিযুক্তদের। এ দিন পুলিশের একটি বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হয়েছে। ওই দলের নেতৃত্বে থাকা এসপি নাজনিন ভাসিনের মুখে আজ একই আশ্বাসের কথা শোনা গেল।

হরিয়ানা পুলিশ প্রধান বিএস সাঁধু বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের অন্যতম পঙ্কজ সেনাবাহিনীর রাজস্থান ইউনিটে রয়েছেন। তার খোঁজে পুলিশের একটি দল রাজস্থানে গিয়েছে। আমি নিশ্চিত, আজ ধরে ফেলা হবে অভিযুক্তদের।’’ সেনাবাহিনীর দক্ষিণ-পশ্চিম কম্যান্ডের জেনারেল অফিসার কম্যান্ডিং-ইন-চিফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল চেরিশ ম্যাথসন বলেন, ‘‘সেনাবাহিনীর কোনও কর্মী যদি সত্যি এ ধরনের অপরাধে যুক্ত থাকে, আমরা দেখব যাতে তাকে ধরা যায় এবং শাস্তি হয়। কোনও অপরাধীকে আমরা আশ্রয় দিই না।’’

অন্য দুই অভিযুক্ত মণীশ ও নিশুর ব্যাপারে কোনও খবর মেলেনি বলে জানিয়েছে পুলিশ। দু’জনেই পলাতক। শনিবার ফের হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর বলেন, ‘‘অভিযুক্তরা শীঘ্রই ধরা পড়বে।’’ এর মধ্যে খট্টর সরকারের বিজেপি বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বীরেন্দ্র সিংহের স্ত্রী প্রেমলতা আজ বলেন, ‘‘ধর্ষণের কারণ যুবকদের কর্মহীনতা ও হতাশা। তরুণ প্রজন্ম নিজেদের ভালমন্দ বুঝতে পারছে না। তাই এ ধরনের অপরাধ করে ফেলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE