রিয়াং শরণার্থী। ফাইল চিত্র।
মোট ৫৪০৭ টি পরিবারের মধ্যে তিন দফায় মাত্র ৩১টি রিয়াং শরণার্থী পরিবার এখনও পর্যন্ত মিজোরামে ফিরল। তাই ত্রিপুরার শরণার্থী শিবিরে থাকা বাকি ৫৩৭৬টি রিয়াং পরিবারের ভবিষ্যৎ আপাতত অনিশ্চিত। মিজোরাম স্বরাষ্ট্র দফতরের যুগ্ম সচিব লালবিয়াকসাংগি জানান, গত কাল ১১টি ব্রু পরিবার মিজোরামে ফিরেছে। ১৯ সেপ্টেম্বর ফিরেছিল ১৭টি পরিবার। তার আগে আরও তিনটি। যদিও উত্তর ত্রিপুরার এসপি ভানুপদ চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন, ফেরত যাওয়া পরিবারের সংখ্যা ৩৪। মিজোরাম সরকারের কোনও অফিসার শরণার্থীদের ফেরত যাওয়ার সময় হাজির থাকছেন না বলেও অভিযোগ।
লাল জানান, চুক্তি অনুযায়ী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ইচ্ছুক পরিবারদের ফিরতে বলা হয়েছিল। ইতিমধ্যে ফিরে যাওয়া পরিবারগুলিকে মামিত জেলার সিহথিয়াং, বুংথুয়াম ও বাওরাই গ্রামে আশ্রয় দেওয়া হবে। পরিবারগুলিকে চুক্তি অনুযায়ী প্রথম মাসের ৫ হাজার টাকাও দেওয়া হয়েছে। এর পরেও ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অন্য কোনও পরিবার ফিরতে চাইলে রাজ্য সরকার স্বাগত জানাচ্ছে। কিন্তু মিজোরাম সরকার জানিয়েছে, ১ অক্টোবরের পর থেকে ব্রু শরণার্থীদের দায়ভার তারা আর নেবে না।
শরণার্থী সংগঠন এমবিডিপিসিসির সভাপতি লালডিংলিয়ানা রিয়াং জানান, তাঁরা কেন্দ্রের কাছে সাত দফা দাবি পেশ করেছেন। তা মানা না হলে আরও কোনও পরিবার ফিরবে না। দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে: মিজোরামে ব্রু উন্নয়ণ পরিষদ গঠন, পরিবার পিছু পাঁচ হেক্টর জমি, অন্তত ৫০০ রিয়াং পরিবারকে একত্রে রেখে গ্রাম তৈরি করে দেওয়া, পরিবার পিছু প্রদেয় চার লক্ষ টাকা এখনই দিয়ে দেওয়া এবং ত্রাণ শিবিরেই ভোটার তালিকা নবীকরণ করা। রিয়াং জানান, দাবিগুলি নিয়ে কেন্দ্র এখনও সদুত্তর দেয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ইতিমধ্যেই জানিয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে ত্রিপুরার ত্রাণ শিবিরগুলিতে বিনামূল্যের রেশন ও অন্য সরকারি সুবিধে বন্ধ করে দেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy