Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪
S jaishankar

রাহুলদের প্রশ্নের মুখোমুখি বিদেশমন্ত্রী

প্রশ্নকর্তাদের মধ্যে ছিলেন শশী তারুর, আনন্দ শর্মারাও।

বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। ছবি পিটিআই।

বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। ছবি পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৪০
Share: Save:

বিদেশনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে রাহুল গাঁধী ও কংগ্রেসের অন্য সাংসদদের প্রশ্নের মুখোমুখি হলেন বিদেশমন্ত্রী সুব্রহ্মণ্যম জয়শঙ্কর। সূত্রের খবর, গত কাল সংসদের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে চিন-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেশের বিদেশনীতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাহুল গাঁধী। প্রশ্নকর্তাদের মধ্যে ছিলেন শশী তারুর, আনন্দ শর্মারাও। ওই বৈঠকে উপস্থিত বিদেশমন্ত্রীকে বলা হয়েছে, কোনও কোনও দেশ ভারতের কিছু অভ্যন্তরীণ নীতি নিয়ে কড়া সুরে কথা বলছে। সরকারের উচিত বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন থাকা।

সূত্রের মতে, এই বৈঠকে যে প্রশ্নগুলি নিয়ে সরব হন রাহুলরা তার মধ্যে রয়েছে, আমেরিকার নতুন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের প্রশ্নে ভারতের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা, চিনের আগ্রাসী নীতির মোকাবিলা, আমেরিকা-রাশিয়ার মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করে চলার মতো বিষয়গুলি। সরকারকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, বিদেশনীতি নিয়ে দেশের অভ্যন্তরে কথাবার্তা এবং আলোচনা চালু করতে।

চিন নিয়ে বিশেষ ভাবে জানতে চেয়েছেন রাহুল। বলেছেন, এই মুহূর্তে আশঙ্কা, বিশ্ব দু’টি মেরুতে ভাগ হয়ে যাবে। এক দিকে চিন, অন্য দিকে আমেরিকা। তাঁর বক্তব্য, চিন যে রকম আগ্রাসী নীতি নিয়ে চলছে, সে সম্পর্কে আগে থেকেই সজাগ থাকা উচিত ছিল ভারতের। সূত্রের বক্তব্য, বিদেশমন্ত্রী বৈঠকে বলেছেন, অদূর ভবিষ্যতে বিশ্বের দুই মেরুতে ভাগ হয়ে যাওয়ার কোনও কারণ বা সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। রাশিয়া, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো শক্তিগুলি রয়েছে, যাদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মজবুত।

কংগ্রেসের আনন্দ শর্মার বক্তব্য, বরাবরই ভারতে বিদেশনীতির প্রশ্নে ঐকমত্যই দেখা গিয়েছে। কিন্তু সেই অবস্থান এখন যথেষ্ট লঘু হয়ে যাচ্ছে। বিদেশনীতি নিয়ে অভ্যন্তরীণ আলোচনা কমে আসছে। সরকার বিরোধী দলগুলিকে সঙ্গে না নিয়ে, হঠাৎ নীতির বদল ঘটাচ্ছে। বিদেশনীতি নিয়ে ঘরোয়া স্তরে আলাপ আলোচনা বাড়ানোর দাবি করেন আনন্দ শর্মা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

S jaishankar Foreign Policy
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE