ছবি: পিটিআই।
ইএসআই কমিটির মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সংসদে বিরোধী ঐক্যের ছবিটা ধাক্কা খেয়েছিল। আজ তা কিছুটা ফিরল। সংসদের ভিতরে ও বাইরে বিরোধীদলগুলি ‘রাজ্যের অধিকার রক্ষার লড়াইয়ে’ শামিল হয়েছে। রাজনৈতিক সূত্রের মতে, সপ্তদশ লোকসভা শুরুর সময় যেমন ছত্রভঙ্গ দেখিয়েছিল বিরোধী দলগুলিকে, গত পনেরো দিনে তা অনেকটা সামলে নিয়েছেন তাঁরা। নির্বাচনী সংস্কার, রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে কেন্দ্রের চক্রান্তের অভিযোগ-সহ নানা বিষয়কে সামনে রেখে একজোট হচ্ছে তারা।
সূত্রের খবর, গত কাল সন্ধ্যায় কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী এইচ ডি কুমারস্বামী ফোন করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার পরে দিল্লিতে রাত থেকে সক্রিয় হন তৃণমূল নেতারা। কংগ্রেস-সহ সব বিরোধী দলের সঙ্গে দফায় দফায় কথা বলেন তাঁরা। আজ তৃণমূল গাঁধীমূর্তির নীচে ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’, ‘বিজেপি রাজ্যগুলিকে ধ্বংস করছে’, ‘রাজ্যের অধিকার রক্ষা করতে হবে’ শীর্ষক স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে ধর্নায় বসে। এসপি, বিএসপি, এনসিপি, বাম, আরজেডি এবং কংগ্রেসের সনিয়া গাঁধী ও রাহুল গাঁধী-সহ ১৬টি দলের নেতারা ওই ধর্নায় যোগ দেন। কংগ্রেস নেতা
আনন্দ শর্মা বলেন, ‘‘বিরোধীদের হুমকি দিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে, বিধায়ক ভাঙিয়ে নিচ্ছে বিজেপি। এত আসন পেয়েও তারা বিরোধী শূন্য করতে চাইছে দেশকে। তাই সব বিরোধী দলকে প্রতিবাদে একজোট হতে হয়েছে।’’
লোকসভা এবং রাজ্যসভাতেও বিষয়টি নিয়ে হৈ চৈ করে কংগ্রেসের সঙ্গেই কক্ষত্যাগ করে তৃণমূল। স্বাভাবিক ভাবেই গত কালের ভোটাভুটি ও দ্বিধাবিভক্ত বিরোধী শিবির নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল রাজনৈতিক শিবিরে।
আজ বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলে তৃণমূলের রাজ্যসভার নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন বলেন, ‘‘আজ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমাদের দুঃখপ্রকাশ করে বলা হয়েছে যে, এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না। সে দিন রাতে গুলাম নবি আজাদ কর্নাটকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামলাতে ব্যস্ত ছিলেন। তাই তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। পরের দিন ওই পদে কংগ্রেস প্রার্থী প্রদীপ ভট্টাচার্য জেদ ধরে বসেন যে তিনি লড়বেনই। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের মুখ্যসচেতক ভুবনেশ্বর কলিতাকে বাধ্য হয়ে রাজি হতে হয়।’’ ডেরেক জানান, প্রদীপবাবুর সঙ্গে আজ দেখা করে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ মিটিয়ে নিয়েছেন তিনি।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy