রাহুল গাঁধী।—ফাইল চিত্র।
নরেন্দ্র মোদীর ‘বিভেদমূলক’ রাজনীতির বিরুদ্ধে ফের এক সুরে সরব হলেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে শরদ যাদবের উদ্যোগে এক সভায় রাহুল গাঁধী থেকে সীতারাম ইয়েচুরি বা ফারুক আবদুল্লা— সকলেই এ প্রসঙ্গে মোদীর পাশাপাশি কড়া সুরে আক্রমণ করেন অমিত শাহকেও।
সভায় সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘‘আমার নাম সীতারাম বলেই বলতে পারি, ওঁরা ধর্মের নামে যেটি করছে, সেটি ঠিক নয়।’’ এ দিনের সভায় রাহুলই ছিলেন মধ্যমণি। তাঁর মন্তব্য, ‘‘ভিন্ন আদর্শেও কেন বিরোধীরা একজোট হচ্ছেন? কারণ, বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ ভারতকে ‘সোনার পাখি’ হিসেবে দেখেন। ৭০-৮০ বছর আগে যেমন ইংরেজরা দেখত। সে ভাবেই অমিত শাহরা দেশকে খাঁচা বানিয়ে কিছু শিল্পপতি বন্ধুকে ফায়দা দেন।
কাল লালকেল্লায় মোদীর বক্তৃতার সময় অমিতের পাশেই বসেছিলেন রাহুল। তা শুনিয়ে বলেন, ‘‘কাল যেতে হয়েছিল। ৯০ মিনিটের বক্তৃতায় তিনি বলছেন, ২০১৪-র পরে শুয়ে থাকা হাতি দৌড়তে শুরু করেছে! এর আগে কেউ কিছু করেনি? আমি দেখছিলাম, প্রধানমন্ত্রীর বক্তৃতার সময় বাচ্চারা ঘন ঘন তালি দিচ্ছে। খতিয়ে দেখলাম, শিক্ষকরা পাশ থেকে তালি দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন! পুরোটাই ‘শো’, গোটাটাই নাটক!’’ বিরোধী জোটের গুরুত্ব তুলে ধরে রাহুল বলেন, ‘‘বিরোধীরা একজোট হয়ে সামনের তিন বিধানসভা আর লোকসভায় বিজেপিকে হারাবে। তবে আমরা দেশকে বিজেপি-মুক্ত করব না। তাদের খতম করব না, নষ্ট করব না। আমরা বোঝাব, আপনাদের আদর্শের থেকে আমাদের আদর্শ আরও মজবুত।’’
সভায় রাহুলের বক্তৃতার মাঝে হঠাৎ বিগড়ে যায় মাইক। এমন শব্দ হতে থাকে, যেন গুলি চলছে! ছুটে আসেন রাহুলের নিরাপত্তারক্ষীরা। দ্রুত বোঝা যায়, বিগড়েছে মাইক। রসিকতার ছলে রাহুল বলেন, ‘‘অমিত শাহ মাইক খারাপ করে দিয়েছেন!’’ সভা ফেটে পড়ে হাসিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy