Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

পদ্মাবতী বিতর্ক: ফের মেবারের চিঠি

মেবার পরিবারের আর এক সদস্য মহেন্দ্র সিংহ আজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এব‌ং প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌরকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, সঞ্জয়লীলা ভন্সালী তাঁর দেড়শো কোটি টাকার ছবিতে যে ঐতিহাসিক চরিত্রগুলিকে তুলে ধরেছেন, তাঁদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ ‘ভুল বার্তা’ দিয়েছেন।

সংবাদ সংস্থা
জয়পুর শেষ আপডেট: ০২ জানুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৪
Share: Save:

এই নিয়ে তৃতীয় বার চিঠি গেল মেবারের রাজপরিবার থেকে। অভিযোগ সেই একই, তাঁদের সম্মতি রয়েছে বলে সর্বসমক্ষে ঘোষণা করা হলেও আদৌ কোনও মতামত নেওয়া হয়নি। বরং রাজপরিবারের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও ‘পদ্মাবতী’কে মুক্তির ছাড়পত্র দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।

মেবার পরিবারের আর এক সদস্য মহেন্দ্র সিংহ আজ তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এব‌ং প্রতিমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিংহ রাঠৌরকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, সঞ্জয়লীলা ভন্সালী তাঁর দেড়শো কোটি টাকার ছবিতে যে ঐতিহাসিক চরিত্রগুলিকে তুলে ধরেছেন, তাঁদের সম্পর্কে সম্পূর্ণ ‘ভুল বার্তা’ দিয়েছেন। এতে শেষমেশ রাজপুত সমাজে ক্ষোভের জন্ম হওয়া ছাড়া আর কিছুই হবে না।

দীপিকা পাড়ুকোন অভিনীত ছবিটিকে মুক্তি দেওয়া যায় কি না, সেই সিদ্ধান্ত নিতে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন সেন্সর বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রসূন জোশী। কমিটির বিশেষ প্যানেলে ছিলেন মেবারের রাজপরিবারের সদস্যরাও। মহেন্দ্রের অভিযোগ, ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনীর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল দু’টি প্যানেলকে। কিন্তু ‘গোপনে’ ছবিটি দেখানো হয় শুধু একটি প্যানেলকে।

এর পরে গত ২৮ ডিসেম্বর কমিটিকে নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন জোশী। ৩০ ডিসেম্বরেই বোর্ড জানিয়ে দেয়, ছবিটিকে মুক্তি দেওয়া হবে। কিন্তু শর্তসাপেক্ষে— পাঁচটি দৃশ্যে কিছু পরিবর্তন করতে হবে এবং পদ্মাবতী নাম বদলে রাখতে হবে ‘পদ্মাবত’। মহেন্দ্র সিংহের বক্তব্য, ‘‘এমন ভাবে বিষয়টি দেখানো হল, যেন প্যানেলে থাকা সকলেই ওই সামান্য পরিবর্তনের পরে ছবিটিকে মুক্তির অনুমতি দিয়েছেন। যদিও, প্যানেলের দুই সদস্য কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানাননি।’’ তিনি আরও জানান, ভন্সালী দাবি করেছেন, ছবিটি তিনি মহম্মদ জয়সীর কবিতা ‘পদ্মাবত’ থেকে বানিয়েছেন। কিন্তু ছবির সঙ্গে ওই কবিতার বিষয়বস্তুর যথেষ্ট অমিল রয়েছে। ‘‘সে ক্ষেত্রে উনি আমাদের ইতিহাস, সংস্কৃতিকেই শুধু বিকৃত করেননি, কবিতাটিরও ভুল ব্যাখ্যা দেখিয়েছেন,’’ বলেন মহেন্দ্র।

মহেন্দ্র-পুত্র বিশ্বরাজ সিংহও এর আগে বোর্ডকে চিঠি দিয়ে জানান, ‘‘নাম পাল্টানোর মতো সামান্য কিছু বদল করলে ছবিটি বদলে যাবে না।’’ অভিযোগ, সেই চিঠির কোনও জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করেনি বোর্ড। গত কালই মেবার পরিবারের আর এক সদস্য অরবিন্দ সিংহ স্মৃতি ইরানিকে লেখা চিঠিতে বোর্ডের চেয়ারম্যান পদ থেকে প্রসূন জোশীর ইস্তফার দাবি জানিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE