দিফা-ই পাকিস্তান কাউন্সিল আয়োজিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের ধর্ম এবং সম্প্রীতি বিষয়ক মন্ত্রী নুর উল হক কাদরি এবং হাফিজ সইদ।
দিল্লি মনে করছে— কিছু দিনের জন্য তৈরি করা পাতলা পর্দা সরিয়ে আসল চেহারা দেখাতে শুরু করেছে পাকিস্তান।
ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ সদিচ্ছার ঢল নামিয়েছিলেন। সন্ত্রাস নিয়ে সর্বাঙ্গীন আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ থেকে শুরু করে ভারতীয় বন্দিমুক্তি, সবই ছিল তাঁর সদিচ্ছায়। কিন্তু সম্প্রতি জম্মু ও কাশ্মীরে নাগাড়ে সন্ত্রাস চালিয়ে যাওয়া বা রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা—বুঝিয়ে দিচ্ছে ইসলামাবাদ বদলায়নি। সেই তালিকায় যুক্ত হল এক মঞ্চে মুম্বই হামলার প্রধান মাথা হাফিজ সইদের পাশে ইমরান সরকারের এক মন্ত্রীর বসা। দিফা-ই পাকিস্তান কাউন্সিল আয়োজিত সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পাকিস্তানের ধর্ম এবং সম্প্রীতি বিষয়ক মন্ত্রী নুর উল হক কাদরি এবং হাফিজ সইদ। নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সম্মেলন চলাকালীনই এই সম্মেলন হয়। অথচ এই হাফিজকেই জঙ্গি তালিকার অন্তর্ভুক্ত করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ। দু’দিন আগে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ অধিবেশনে সুষমা স্বরাজ আবেদন জানান, হাফিজকে শাস্তি দিতে তৎপর হোক সব দেশ। প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামনও বলেন, ‘‘সন্ত্রাস ও আলোচনা একসঙ্গে চলতে পারে না।’’
রাজনৈতিক শিবিরের বক্তব্য, ইমরানের মধুর ভাষ্যে কিছুটা ফাঁদে পড়েছিল মোদী সরকার। বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের আলোচনা প্রস্তাবে ভারতের রাজি হয়ে যাওয়া থেকেই তা স্পষ্ট। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই প্রস্তাব বাতিল করে দিল্লি মূলত দু’টি কারণ দেখিয়ে। যার মধ্যে একটি ছিল জম্মু ও কাশ্মীরে মিথ্যা প্রচার ও নিহত জঙ্গিদের ছবি দেওয়া পাক ডাকটিকিট প্রকাশ। ভারত সফরে রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে চিঠি দিয়ে ডাকটিকিটগুলি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে কাশ্মীর পণ্ডিতদের সংগঠন ‘রুটস অন কাশ্মীর’।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy