ফের কাশ্মীরে হামলা চালাল পাকিস্তান। আজ উরিতে নিয়ন্ত্রণরেখায় প্রবল সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ফলে প্রায় যুদ্ধকালীন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণরেখায়। পাকিস্তানকে জবাব দিতে প্রায় ১৫ বছর পরে বফর্স কামান ব্যবহার শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। পাক হামলার ফলে ঘরবাড়ি ছেড়ে সরছেন ওই এলাকার মানুষ। তাঁদের প্রশ্ন, আর কত দিন এ ভাবে বাঁচতে হবে স্থানীয় বাসিন্দাদের?
কাল কুপওয়ারার টাংধর সেক্টরে পাক সেনার ব্যাট বাহিনীর আক্রমণ রুখেছিল ভারত। আজ উরির হাজি পীর সেক্টরে গোলাবর্ষণ শুরু করে পাক সেনা। জবাব দেয় ভারতও। জম্মুর লাম ও ঝাঙ্গের সেক্টরেও সংঘর্ষবিরতি ভেঙেছে পাক বাহিনী। জবাব দিচ্ছে ভারতীয় বাহিনীও। সেনা জানিয়েছে, হাজি পীর সেক্টরে বফর্স কামান ব্যবহার করছে তারা। ২০০৩ সালের পরে এই প্রথম বফর্স ব্যবহার করা হচ্ছে।
শ্রীনগর থেকে ১২৪ কিলোমিটার দূরে উরির চুরুন্ডা ও সিলিকোট গ্রাম। গত দেড় বছরের সংঘর্ষে কাশ্মীরের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে এই গ্রাম দু’টি। শুক্রবার থেকেই ওই এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরাতে শুরু করেছে পুলিশ ও সেনা।
প্রবল ঠান্ডায় বাড়িঘর ছেড়ে আসা মানুষের ঠাঁই হয়েছে উরি শহরের দু’টি স্কুলে। তাঁদের খাবার জোগাচ্ছে জেলা প্রশাসনই। চুরুন্ডার বাসিন্দা মহম্মদ ইরশাদ, সিলিকোটের মহম্মদ গফুরদের দাবি, তাঁদের সুরক্ষা নিয়ে আদৌ চিন্তিত নয় সরকার। নিয়ন্ত্রণরেখার কাছের গ্রামবাসীদের জন্য বাঙ্কার তৈরির প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি। পেশায় শিক্ষক ইরশাদের দাবি, ‘‘পাকিস্তান বেছে বেছে জনবসতির উপরে হামলা চালাচ্ছে। আমরা আর কত দিন মৃত্যুর ছায়ায় বাঁচব তা বলতে পারেন?’’
সিলিকোটের সরপঞ্চ আব্দুল শুভান গুজ্জরের কথায়, ‘‘দু’দেশের সংঘর্ষ হলেই পালানোটা আমাদের বিধিলিপি হয়ে দাঁড়িয়েছে।’’ আজ উরির পরিস্থিতি দেখতে আসেন ডিভিশনাল কমিশনার বশির খান। জানান, যে এলাকায় হামলা চলছে সেখানকার বাসিন্দাদের খাবার, আশ্রয়ের সব ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy