Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Lok Sabha Election 2019

নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ নয়, টুইটারকে ডেকে জানিয়ে দিল কেন্দ্র

২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা সংস্থার বিরুদ্ধে।

সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান অনুরাগ ঠাকুর।—ফাইল চিত্র।

সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধান অনুরাগ ঠাকুর।—ফাইল চিত্র।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৯:২২
Share: Save:

লোকসভা নির্বাচনে বিদেশি হস্তক্ষেপ একেবারেই চলবে না। তার জন্য সময় থাকতে ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রয়োজনে আলোচনায় বসতে হবে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও। সোমবার টুইটার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে জানিয়ে দিল সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটি। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের আধিকারিকদেরও এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে। নির্বাচনী বিধিনিষেধ নিয়ে আগামী ৬ মার্চ তাদের সঙ্গে বৈঠক হবে।

২০১৬-র মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপের অভিযোগ উঠেছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয় নিশ্চিত করতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষকে প্রভাবিত করার অভিযোগ উঠেছিল কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা সংস্থার বিরুদ্ধে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতে এ ধরনের সমস্যা যাতে না দেখা দেয়, তার জন্য সম্প্রতি টুইটার সিইও জ্যাক ডর্সিকে ১১ ফেব্রুয়ারি সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সামনে হাজিরা দিতে বলা হয়।কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। যার পর এ দিন টুইটারের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং গ্লোবাল পলিসি বিভাগের প্রধান কলিন ক্রাওয়েলের সঙ্গে বৈঠক করে অনুরাগ ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন সংসদীয় কমিটি।

বৈঠকের পর সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাত্কারে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, ‘‘বিশ্বের কিছু দেশে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া সম্ভব নয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। সংসদের তথ্যপ্রযুক্তি কমিটি এই ধারণায় বিশ্বাসী নয়। স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করানোই আমাদের লক্ষ্য। তাই টুইটার কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গেও দেখা করতে হবে তাঁদের। কলিন ক্রাওয়েলের থেকে কিছু প্রশ্নের উত্তর পেয়েছি আমরা। আগামী দশদিনের মধ্যে বাকি প্রশ্নের উত্তর লিখে পাঠাবেন তিনি। ৬ মার্চ সংসদীয় কমিটির সামনে হাজিরা দিতে হবে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইনস্টাগ্রামকেও।’’

আরও পড়ুন: খবর থাকা সত্ত্বেও জওয়ানদের মৃত্যুর মুখে ঠেললেন রাজনীতি করবেন বলে? আক্রমণাত্মক মমতা​

আরও পড়ুন: আরও একটা বড়সড় হামলার ছক কষছিল জইশ! উত্তরপ্রদেশ থেকে ধৃত দুই জঙ্গিকে জেরা করে মিলল বিস্ফোরক তথ্য​

তবে নির্বাচনের আগে টুইটার কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠানোর পিছনে অন্য অভিসন্ধি রয়েছে বলে দাবি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তাঁরা জানিয়েছেন, এতদিন টুইটার-সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে ভিন্ন মত পোষণকারীদের ট্রোল করতেন বিজেপি নেতা ও সমর্থকরা। কিন্তু গত কয়েক মাসে ছবিটা অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে এখন ট্রোলড হতে হচ্ছে বিজেপি সমর্থকদেরই। যা নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে প্রতিবাদে নেমেছিলেন মোদী সমর্থকরা। টুইটার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছিলেন তাঁরা। নির্বাচনের আগে এই পরিস্থিতি তাঁদের বিপক্ষে যেতে পারে। তার জন্যই আগেভাগে টুইটারকে ডেকে সতর্ক করে দেওয়া হল। যদিও বিজেপির তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE