পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের হালহকিকত নিয়ে যতই মামলা-মকদ্দমা, বিতর্ক দানা বাঁধুক, রথযাত্রায় তার প্রভাব পড়বে না বলে রবিবার দাবি করলেন দয়িতাপতি পান্ডাদের নিজোগ বা সমিতির কর্তা রাজেশ দয়িতাপতি। এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে আশ্বস্ত করতে এক দল প্রতিনিধি এ দিন ভুবনেশ্বরে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের সঙ্গে
দেখা করেন।
মন্দিরের রত্নভাণ্ডারের চাবি উধাও থেকে শুরু করে রথযাত্রার প্রাক্কালে মন্দির ঘিরে নানান অভিযোগ উঠেছে। কখনও সেবায়েতদের একাংশের বিরুদ্ধে জুলুমের অভিযোগ, কখনও বা মন্দিরে অহিন্দুদের প্রবেশাধিকার বন্ধের প্রাচীন প্রথা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সর্বোচ্চ আদালতে।
রাজ্য সরকার ও সেবায়েতদের মধ্যে চাপান-উতোরও বহাল রয়েছে। এই অশান্তির আবহে সম্প্রতি পুরীতে বৈঠক করেছিলেন নবীন। তার পরেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে মন্দির নিয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে ঐক্যের বার্তা দিয়েছে সেবায়েতদের প্রতিনিধিদল। পুরীর সাংসদ পিনাকী মিশ্র, বিধায়ক মহেশ্বর মোহান্তিও সেবায়েতদের সঙ্গে ভুবনেশ্বরে যান।
এই সৌহার্দ্যের আবহেই পুরীর শ্রীমন্দিরে জগন্নাথদেবের সুস্থ হয়ে ওঠার পর্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ নীতি বা আচার এ দিন সুসম্পন্ন হয়েছে। রবিবার ছিল জগন্নাথের ‘চকা বিজে’র অনুষ্ঠান। স্নানযাত্রার পরে ঈশ্বরের অনবসর বা অসুস্থতার এ দিন অবসান ঘটল। এত দিন লোকচক্ষুর আড়ালে খাটিয়ায় শায়িত জগন্নাথকে এ দিন তিন-চার ফুট উঁচু একটি বেদিতে বসালেন দয়িতাপতিরা।
রাজেশ দয়িতাপতি বলেন, ‘‘রীতিমাফিক পুরীর গজপতি রাজাদের বৈদ্যের নির্দেশমাফিক প্রভুর জন্য আয়ু্র্বেদিক মোদক প্রস্তুত করা হয়েছিল। এটা খেয়েই জগন্নাথদেবের অসুখ সারে!’’ তবে ঈশ্বর সু্স্থ হলেও এখনই মন্দিরে দর্শন দিচ্ছেন না তিনি। আগামী শনিবার রথে উঠেই সকলকে দর্শন দেবেন জগন্নাথদেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy