নিঃসঙ্গ ‘শৌর্য’। —নিজস্ব চিত্র।
যাঁকে মানুষ ২২ গজের পিচে দেখতেই অভ্যস্ত, সেই মহেন্দ্র সিংহ ধোনিকে হরমুর বাসিন্দা পালিন্দি মেহতা দেখতেন রান্নাঘরে।
পালিন্দি, ধোনির পারিবারিক বন্ধু বা আত্মীয় নন। তিনি ছিলেন একেবারে পাশের বাড়ির প্রতিবেশী। পালিন্দি বলেন, ‘‘বাড়ির ছাদে দাঁড়ালেই দেখতে পেতাম, ধোনির বাড়ির রান্নাঘর, ব্যালকনি। ধোনি রাঁচীতে থাকলে রান্নাঘরে প্রায়শই আনাগোনা করতেন দেখতাম।’’
সেই রান্নাঘর-সহ পুরো বাড়িটাই এখন কার্যত অন্ধকারে ডুবে। কয়েক মাস আগে হরমুর ‘শৌর্য’ ছেড়ে ধোনি পরিবার উঠে গিয়েছেন রাঁচীর রিং রোডে সাত একর জমির উপরে তৈরি নতুন ফার্ম হাউসে।
ধোনির হরমু ছেড়ে চলে যাওয়ায় মন খারাপ পুরো পাড়ারই।
যদিও এক সময় এই পাড়ার প্রতিবেশীদের একাংশের সঙ্গে বাড়ির সুইমিং পুলের জল সরবরাহ নিয়ে ধোনির পরিবারের সম্পর্ক তিক্ত হয়েছিল। তবে সে সব পুরনো কথা দু’পক্ষই পরে ভুলে যান।
বাড়ির উল্টো দিকে রয়েছে একটি পেট্রোল পাম্প। ওই পেট্রোল পাম্পের ক্যাসিয়ার বিমলেন্দু নারায়ণের কথায়, ‘‘বাড়ির সমস্ত গাড়ির তেল নেওয়ার জন্য ধোনি-পরিবারের মাসিক খাতা ছিল। সারা মাসের তেলের টাকা মাসের প্রথম দিনই পেয়ে যেতাম।’’ ধোনি তাঁর হামার গাড়ি নিয়ে এই পেট্রোল পাম্পে তেলও নিতেন। বিমলেন্দুবাবুর কথায়, ‘‘কী অমায়িক ব্যবহার ছিল ওঁর।’’ তবে হিসাবের খাতাটি সযত্নে রেখে দিয়েছেন তিনি। বলেন, ‘‘ওঁরা এখন আমাদের পাড়ায় নেই। তবে খাতাটা যত্ন করে রেখে দিয়েছি।’’
ধোনিময় ছিল হরমু। এমনকী পাড়ার কয়েকটি দোকানের নামেও ছিল তাঁর ছোঁয়া। ধোনির বাড়ির কাছে এক রেস্তোরার নাম ‘মাহি’। রেস্তোরার মালিক ব্রিজেশ মিশ্র বলেন, ‘‘মধ্যপ্রদেশের মাহি নামে এক নদীর নামে এই রেস্তোয়ার নাম দিয়েছিলাম ‘মাহি দ্য রিভার।’ পরে ধোনি যখন আমাদের পাড়ার বাসিন্দা হলেন তখন ‘দ্য রিভার’ কথাটা তুলে দিয়ে শুধুই ‘মাহি’।’’
ধোনি পাড়া ছেড়ে চলে যাওয়ায় কি আবার ‘দ্য রিভার’ ফিরে আসবে? ব্রিজেশবাবু ঘাড় নাড়লেন, ‘‘নাহ্! নাম আর পাল্টাবো না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy