Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

নীতি আয়োগেও একসঙ্গে ভোটের পক্ষে সওয়াল মোদীর, বঞ্চনা নিয়ে সরব মমতা

কিন্তু তার পরও মোদি একাধিক বার বলেছেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সব রাজনৈতিক দলের উচিত বিষয়টিতে সমর্থন দেওয়া। লোকসভাতেও বিষয়টি তুলেছেন মোদী। রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকেও ফের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে তিনি আবেদন করেন, খরচ ও উন্নয়নের দিকটি মাথায় রেখে বিষয়টি ভাবা উচিত।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৮ জুন ২০১৮ ০০:১১
Share: Save:

নীতি আয়োগের বৈঠকে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট একসঙ্গে করার পক্ষে ফের সওয়াল করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও এই ভাবনা সংবিধানের পরিপন্থী— এই যুক্তিতে একাধিক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এর প্রতিবাদ করেন। অন্য দিকে। বৈঠকে ফের রাজ্যের বঞ্চনা নিয়ে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের ঘাড়ে ঋণের বোঝা এবং কেন্দ্রীয় অনুদান কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদ করেছেন মমতা।

একসঙ্গে কেন্দ্র ও রাজ্যের ভোট হলে খরচের বোঝা কমবে। ভোটের জন্য উন্নয়নের কাজ থেমে থাকার মেয়াদও কমবে। এই যুক্তিতেই কেন্দ্র এবং প্রধানমন্ত্রী নিজে বার বার সওয়াল করেছেন একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভার ভোট করার। গত বছর নীতি আয়োগের বৈঠকে এমনকি ২০২৪ সাল থেকে দুই ভোট একসঙ্গে করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়। কিন্তু বিজেপি বিরোধী প্রায় সব রাজ্য তার বিরোধিতা করায় সেই প্রস্তাব গতি পায়নি। বিরোধীদের যুক্তি, একসঙ্গে লোকসভা ও বিধানসভা ভোট করা যেমন বাস্তবসম্মত নয়, তেমনই সাংবিধানিক কাঠামোরও পরিপন্থী।

কিন্তু তার পরও মোদি একাধিক বার বলেছেন, রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সব রাজনৈতিক দলের উচিত বিষয়টিতে সমর্থন দেওয়া। লোকসভাতেও বিষয়টি তুলেছেন মোদী। রবিবার নীতি আয়োগের বৈঠকেও ফের মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে তিনি আবেদন করেন, খরচ ও উন্নয়নের দিকটি মাথায় রেখে বিষয়টি ভাবা উচিত।

নীতি আয়োগের বৈঠকের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পিনারাই বিজয়ন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রবাবু নাইডু ও এইচ ডি কুমারস্বামী। —পিটিআই

আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠকেও জোট জল্পনা, কেজরীবালের হয়ে মোদীর দ্বারস্থ মমতা

অন্য দিকে, রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের বঞ্চনা নিয়ে তিনি বৈঠকে সরব হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মমতা। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যের দাবিদাওয়ার কথা বলেছি। রাজ্যের ঋণের বোঝার বিষয়টি তুলে ধরেছি। অন্য মুখ্যমন্ত্রীরাও তাঁদের নিজের নিজের সমস্যার কথা বলেছেন।’’ তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘‘কেন্দ্র কেন এজেন্ডা ঠিক করে দেবে। আমাদের রাজ্যের কী সমস্যা, কী ভাবে তার সমস্যা সমাধান করা যায়, তা আমরাই ভাল বুঝতে পারব। সেটা কেন কেন্দ্র ঠিক করে দেবে।’’

বৈঠক শেষে নীতি আয়োগ প্রধান অমিতাভ কান্ত জানান, ১৫ বছরের ‘ভিশন ডকুমেন্ট’, সাত বছরের ‘অ্যাকশন ডুকমেন্ট’ এবং তিন বছরের অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘‘আমরা যে গতিতে উন্নয়নের কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে চয়েছিলাম, সেই গতিতে সিংহভাগ রাজ্যই কাজ করতে পারেনি।’’

আরও পড়ুন: আপের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন অভিযান মাঝপথেই আটকে দিল পুলিশ

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE