Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Narendra Modi

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্যাকেজ ঘোষণা করল কেন্দ্র

যে সমস্ত সংস্থার বার্ষিক লেনদেন ১০০ কোটি টাকা, সেগুলি এ বার ছোট শিল্পের তালিকাভুক্ত হবে।

ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য প্যাকেজ। ছবি: শাটারস্টক।

সংবাদ সংস্থা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০১ জুন ২০২০ ১৬:২০
Share: Save:

পঞ্চম দফার লকডাউনের মধ্যেই এ বার ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পের জন্য বিশেষ প্যাকেজ মঞ্জু করল কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। তার আওতায় ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধনের যে শিল্পগুলি এত দিন ক্ষুদ্রশিল্পের আওতায় আসত, এ বার সে গুলির মূলধনের সীমা বাড়িয়ে ১ কোটি করা হল। আবার যে সমস্ত সংস্থার বার্ষিক লেনদেন ১০০ কোটি টাকা, সে গুলিকে ছোট শিল্পের তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এরক ফলে ২ লক্ষ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উপকৃত হবে বলে দাবি কেন্দ্রীয় সরকারের।

নোভেল করোনার প্রকোপ ঠেকাতে গত ২৪ মার্চ থেকে দেশ জুড়ে লকডাউন চলছে। তার জেরে ধুঁকছে দেশের শিল্প সংস্থাগুলি। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে সম্প্রতি ধাপে ধাপে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার মধ্যেই সোমবার দুপুরে দুপুরে মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটিকে নিয়ে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেখানেই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শইল্পকে চাঙ্গা করতে একাধিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ দিন বিকালে সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর, নিতিন গডকরী ও নরেন্দ্র তোমর। সেখানেই ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পের জন্য আর্থিক প্যাকেজের ঘোষণা করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে কৃষকদের ও দেড় গুণ বেশি সহায়ক মূল্য দেওয়ার পাশাপাশি, ঋণ শোধ করার জন্য বাড়তি সময় দেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

এ দিন যে যে ঘোষণা করা হয়—

• ১৪টি খারিফ শস্যে ন্যূনতম সহায়ক মূল্যের সিদ্ধান্তে অনুমোদন। খরচের ৫০-৮৩ শতাংশ টাকা পাবেন কৃষকরা।

• চলতি অর্থবর্ষে ধানের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কুইন্টাল পিছু ৫৩ টাকা বাড়িয়ে ১,৮৬৮ টাকা করা হল।

• দেড় গুণ বেশি সহায়ক মূল্য পাবেন কৃষকরা।

• ছোট ব্যবসায়ীদের জন্য স্বল্প সুদে ঋণ।

• আর্থিক সঙ্কটে জেরবার ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প লাভবান হবে।

• ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের মাধ্যমে আরও কর্মসংস্থান।

• ঋণ শোধ করার জন্য আরও সময় পাবেন কৃষকরা।

• হকারদের ১০ হাজার টাকা করে ঋণ। এতে ৫০ লক্ষ ফুটপাতের দোকানদাররা উপকৃত হবেন।

• ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ২০ হাজার কোটি টাকা ঋণ।

• যে সমস্ত সংস্থার বার্ষিক লেনদেন ১০০ কোটি টাকা, সেগুলি এ বার ছোট শিল্পের তালিকাভুক্ত হবে।

• এত দিন ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধনের শিল্পগুলি ক্ষুদ্রশিল্পের আওতায় আসত, এ বার মূলধনের সীমা বাড়িয়ে ১ কোটি করা হল এবং তাঁদের বার্ষিক লেনদেন ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে।

• ক্ষুদ্র, মাঝারি ও কুটির শিল্পকে আর্থিক প্যাকেজ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE